যুবদলের দু’গ্রুপে একই ভেনুতে সভা ডাকায় সভাপন্ড

মাঠে যুবদলের ৫টি ইউনিয়ন কমিটির পরিচিতি সভা ও বিদ্রোহী গ্রুপের সম্মেলনের প্রস্তুতি সভা একই ভেনুতে দু’গ্রুপে করতে চাইলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষের আশংকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য বির্তকিত যুবদলের আহ্বয়ক আরিফ  হোসেন ফিরোজকে পুলিশ উপজেলার গৈলা  নামক স্থান থেকে আটক করে। ফিরোজকে আটকের সংবাদ উপজেলায় ছড়িয়ে পড়লে যুবনেতা ও ছাত্রনেতাদের মাঝে আতংক বিরাজ করে। অনেকে উপজেলা সদর ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আত্মগোপন করে। আরিফ হোসেন ফিরোজকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ ও মিছিল মিটিং করবেনা শর্তে তাকে ছেড়ে দেয়। যুবদলের দু’গ্র“পের সংঘর্ষের আশংকা  প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। উভয় গ্রুপের সভা স্থগিত করা হয়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আকন কুদ্দুসুর রহমান সমর্থিত বির্তকিত যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক আরিফ হোসেন ফিরোজ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে যুবদলের কমিটি গত ২৯ এপ্রিল কাগজে কলমে গঠন করে সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করে। ফিরোজের কমিটির পরিচিতি সভার জন্য গতকাল শুক্রবার গৈলা দাখিল মাদ্রাসার মাঠ বরাদ্দের জন্য লিখিত ও মৌখিক ভাবে আবেদন করা হয়। ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং সভাপতি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আ. লতিফ মোল্লা। মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ঘটনাটি তাকে জানানো হলে তিনি তার বাড়িতে যুবদলের ৫টি ইউনিয়নে যুবদলের কমিটি গঠন করার জন্য সভা ডাকার নির্দেশ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান সমর্থিত  একাংশের আহ্বায়ক আলী হোসেন স্বপন ভূইয়াকে। মাদ্রাসা ও বিএনপির সভাপতির বাড়িতে সভা আহ্বান করায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। মাদ্রাসা থেকে সভাপতির বাড়ি প্রায় ১শ গজ দূরত্বে। পাশাপাশি দু’গ্রুপের সভা আহ্বান করায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতির হওয়ার আশংকায় উপজেলা প্রসাশন উভয় পক্ষকে সভা না করার জন্য মৌখিক ভাবে নির্দেশ দেয়।

আইন শৃংখলা অবনতি হওয়ার আশংকায় একাংশের আহ্বায়ক আরিফ হেসেন ফিরোজকে গৈলা থেকে এসআই ফোরকান আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে ত্রিধারায় বিভক্ত হয়ে দলীয় কর্মসূচী পালন করে আসছেন। দু’গ্রুপে সভা আহ্বান করলেও সাবেক এমপি জহিরউদ্দিন স্বপন সমর্থিত যুবদলের নেতা আবুল হোসেন মোল্লা নিরব ভূমিকা পালন করেছেন।