দ্বিতীয় বিয়েতে বাঁধা দেয়ায় – গৃহবধূকে অমানুষিক নির্যাতন

অমানুষিক নির্যাতন করে বাবার বাড়িতে তাড়িয়ে দিয়েছে পাষন্ড স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনে। মুর্মুর্ষ অবস্থায় গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার দুপুরে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় বরিশালের গৌরনদী উপজেলার গরঙ্গল গ্রামে।

জানা গেছে, পৌর এলাকার গেরাকুল গ্রামের আব্দুল হাওলাদারের কন্যা ঝর্ণা বেগমকে দীর্ঘদিন পূর্বে সামাজিক ভাবে বিয়ে দেয়া হয় উপজেলার গরঙ্গল গ্রামের সেকান্দার আলী সরদারের পুত্র লিটন সরদারের সাথে। বিয়ের পর তাদের সংসারে ২টি পুত্র ও ১টি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করে। লিটন ঢাকায় কাপরের ব্যবসা করে আসছিলো। অতিসম্প্রতি পরিবারের যোগসাজসে মোটা অংকের টাকা যৌতুকের আসায় লিটন একই গ্রামের আয়নাল বেপারীর কন্যা সুমা আক্তারকে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এতে বাঁধ সাধেন লিটনের প্রথম স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (২৮)। যার ফলে প্রায়ই ঝর্ণাকে শারিরিক ভাবে নির্যাতন করা হতো। ওই ঘটনার জেরধরে শনিবার দুপুরে প্রথম দফায় লম্পট লিটন তার পিতা সেকান্দার আলী ও মা আলেয়া বেগম গৃহবধূ ঝর্ণাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে আটক করে রাখে। ওইদিন সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দফায় ঝর্ণাকে অমানুষিক নির্যাতন করে বাবার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়া হয়। শনিবার রাতেই গৃহবধূ ঝর্ণাকে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গতকাল রবিবার দুপুরে গৃহবধূ ঝর্ণা বেগম বাদি হয়ে স্বামী লিটন সরদার, শশুড় সেকান্দার আলী সরদার ও শাশুড়ি আলেয়া বেগমকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।