বিএনপি’র শক্তি খর্বের ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ এমপি সরোয়ারের

 খর্ব করতে এক মহল গভীর ষড়যন্ত্র করে চলছে। এরইধারাবাহিকতায় রাজপথের লড়াকু সৈনিকদের বিরুদ্ধে নানাবিধMP Sarwar অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বরিশাল সদর আসনের এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় গৌরনদী ডটকম-কে সেল ফোনে এ কথা বলেন ।

প্রসঙ্গত সম্প্রতি বিএনপি’র বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান রাজনকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় এমপি মজিবর রহমান সরোয়ারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দাযের করেন।

এমপি সরোয়ার গৌরনদী ডটকম-কে বলেন আমি দলের কাছে পরীক্ষিত ও সফল নেতা। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কোন কালেই ষড়যন্ত্র করেনি। ক্ষমতার লোভে হাত মেলায়নি অপশক্তির সাথে। তিনি নিজেকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র বিশ্বস্ত সেবক দাবী করে বলেন রাজন বা অন্য কেউ আমার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। তাই আমার নির্দেশে রাজনের উপর হামলা করার প্রশ্নই ওঠেনা। একজন পরিপক্ক রাজনীতিবিদ এমন ভুল করতে পারেন না এটা সবাই বোঝে।  

দলীয় সূত্রগুলো বলছে, বিভাগের বিএনপির অন্যতম নেতা এমপি মজিবর রহমান সরোয়ারকে বেকায়দায় ফেলতেই দলের বাহিরে থেকে একটি চক্র একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ধরনা, সরোয়ারকে ঠেকাতে পারলেই বিএনপিকে দুর্বল করা যাবে। আর এমনটি করতে পারলে অন্য কোন নেতার পক্ষে বরিশাল বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করা দুস্কর হবে।

সূত্র বলছে,আব্দুর রহমান বিশ্বাস রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর দলে নেতৃত্বে শূন্যতা দূর করতে বরিশাল বিএনপির রক্ষা কবজ দেয়া হয় সরোয়ারের হাতে। তিনি বুদ্ধিমত্তা দিয়ে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকেন। দলের মধ্যে কোন্দল দুর করা সহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহনের মধ্য দিয়ে বরিশাল সদর আসনে পরপর ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে রাজনৈতিক দুর্দশিতার প্রমান দেন সরোয়ার। জনপ্রিয়তার কারনে এবং দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঠিক সিদ্ধান্তের বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত প্রথম মেয়র হওয়ার গৌরব অর্জনও করে ছিলেন সরোয়ার। এ কারনেই কেন্দ্রের আর্শীবাদে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সর্বশেষ মহানগর বিএনপির সভাপতি পদ লাভ করেন সরোয়ার। আর এ পদগুলোর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সরোয়ারকে নির্যাতন ও হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে বারবার।

এদিকে বরিশাল মহানগর যুবদলের যুগ্ন সম্পাদক কাজী আবদুল্লাহ আল রাসেল বলেন  কেন্দ্রীয় নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) হান্নান শাহ’র সামনে বিএনপির কোন্দল দিপ্তমান করতে পারলে সরোয়ার ফেঁসে যাবে। তাই বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি দূর্বল করতে হামলা করতে রাজনকে বেছে নিয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা।