মুরুং নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে ইউএনও’র প্রতিবেদন

শতাধিক মুরুং উপজাতি ভূমিদস্যু শামশুল আলম কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রদত্ত প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মতামতে শামশুর ভূমিদস্যুতার বিষয়টি প্রকাশিত হলেও থেমে নেই তার ষড়যন্ত্র। এবার মুরুংদের সাথে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নাম জড়িয়েও মিথ্যা অভিযোগ সৃজন বিভিন্ন অভিযোগ সৃজনে নেমেছে এই ভূমিদস্যু।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের প্রদত্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মুরুং সম্প্রদায় আলীকদম উপজেলায় সবচেয়ে পিছিয়েপড়া ও শান্তিপ্রিয় জনগোষ্ঠী। জুমচাষ ও সৃজিত বাগান থেকে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। তারা শিক্ষাদীক্ষা থেকেও পিছিয়ে আছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সরকারী নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে তাদের মধ্যে শিক্ষা ও সচেতনাবৃদ্ধি পেয়েছে। রেপারপাড়ি এলাকার শামশুর বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, মুরুংদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে বার বার নোটিশ দিয়ে ডাকা হলেও তিনি নানা কারণ দেখিয়ে শুনানীতে অনুপস্থিত থাকেন।

প্রতিবেদনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, শামশুর শুনানীতে অনুপস্থিত থাকা, সময় ক্ষেপন শঠতার পরিচায়ক। মুরুংদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তিনি তাদের ভোগ দখলীয় জায়গা জবর দখল ও অবৈধভাবে উচ্ছেদের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এ কারণে মুরুংদের ভোগ দখলীয় জায়গার অধিকার সুরক্ষার নিমিত্ত ভূমিদস্যু জবরদখলকারী শামশুল আলমের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে ফৌজদারী মামলা রুজুসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পক্ষে মত ব্যক্ত করেন নির্বাহী কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে।

এদিকে, শামশুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু হওয়ায়তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে মুরুংদের সাথে জড়িয়ে স্থানীয় একটি প্রশাসনের জনৈক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় ও কোর্টে অভিযোগ দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে চলেছে বলে ওই এলাকার পুংপ্রে মুরুং ও মো. আরাফাত

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত শামশুল আলম জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। দুপ্রু ঝিরি এলাকায় তার ক্রয় করা জমি নিয়ে মুরুংরাই ষড়যন্ত্র করছে।