গৌরনদীতে বোনদের বিরুদ্ধে ভাইয়ের মামলা

আত্মসাতের জন্য বোন ও বোন জামাতাদের ওপর হামলা মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাই হারুন বেপারী ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে ৬টি পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে গতকাল গৌরনদী থানায় পৃথক দুইটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে।

ওয়াজেদ বেপারীর কন্যা রওশনআরা বেগম অভিযোগ করেন, গৌরনদী উপজেলার তাঁরাকুপি গ্রামের আঃ ওয়াজেদ বেপারী দুই স্ত্রী, ৪ পুত্র ও ৮ কন্যা রেখে মারা যান। তার পিতা টরকী বন্দরের অঢেল সম্পত্তির মালিক। সম্প্রতি ওই সম্পত্তির আংশিক অংশে তারা চারতলা বিশিষ্ট ওয়াজেদ আলী সুপার মার্কেট নির্মান করেন। ওই মার্কেটের ওপর লোলুপ দৃষ্টি পরে তার মেঝ ভাই ভূমিদস্যু হারুন বেপারী ও তার বখাটে পুত্র আরিফ বেপারীর। তিনি আরো অভিযোগ করেন, বিগত ২০০৯ সালের মে মাসে তার নিজস্ব অর্থ ব্যয় করে ওই সুপার মার্কেটটি নির্মান করে ২৩টি দোকান ব্যাংক ও বীমা কোম্পানীর কাছে ভাড়া দেয়া হয়। প্রতিমাসে ভাড়ার উত্তোলনকৃত টাকা দিয়ে মার্কেটের অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তার মেঝভাই হারুন বেপারী ও তার পুত্র আরিফ বেপারী উক্ত সম্পত্তি আত্মসাতের লক্ষে প্রায়ই তাদের ওপর মারমুখী অবস্থান নেয়। এ সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করে। তারই ধারাবাহিকতায় রওশনআরাসহ তার অন্যান্য ভাই-বোনদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।

গত ২৩ মে মার্কেটের নিরাপত্তার জন্য কলাপসিবল গেট লাগাতে গেলে হারুন ও তার পুত্র আরিফ ১০/১৫ জন ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে তার স্বামী কুদ্দুস আকনের ওপর হামলা চালায়। তার আত্মচিৎকারে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করেন। ওপর বোন সালমা বেগম  জানান, তাদের বিরুদ্ধে গৌরনদী থানায় একাধিক মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তারা প্রসাশনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অভিযোগকারী হারুন বেপারীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।