চেয়ার নিয়ে গেছে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ

শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের ছাত্র কল্যান পরিষদের ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা অধ্যক্ষের চেয়ার নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে কয়েক ঘন্টা পর ঐ চেয়ার ফেরৎ দিতে বাধ্য হয় তারা। এটিকেয় অধ্যক্ষ মসকরা  ও উপধ্যক্ষ ছাত্রদের প্রতিবাদ বলে দাবী করলেও ক্ষুদ্ব হয়েছেন কলেজের অন্যান্য শিক্ষকরা।

ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, প্রায় ১ বছর পূর্বে শেবাচিমের ছাত্র কল্যান পরিষদের নেতৃবৃন্দ সাবেক অধ্যক্ষ ডাঃ আবরার আহমেদের কাছে তাদের সংঘটনের জন্য চেয়ার টেবিলসহ আসবাব পত্র দাবি করে। অধ্যক্ষ ডাঃ আবরার আহম্মেদ ছাত্র কল্যান পরিষদের এ দাবীর একমত প্রকাশ করলেও তিনি চাকুরি জীবন থেকে অবসরে যান। তার স্থলে নতুন অধ্যক্ষ হন ডাঃ আবু তাহের। হঠাৎ করে অধ্যক্ষের দয়িত্ব নিয়ে তিনি নানান জটিলতায় আটকে যান। তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরও ছাত্র কল্যান পরিষদের নেতৃবৃন্দ তার কাছে একাধিকবার তাদের সংঘঠনের জন্য প্রয়োজনিয় আসবার পত্রের দাবী জানান। অধ্যক্ষ বিভিন্ন সময় ছাত্রদের এ দাবী পূরন করবেন বলে আশ্বাস দিলেও তা আর  বাস্তবে রুপ দেয় নি। ফলে ক্ষুদ্ব হয় ছাত্র কল্যান পরিষদের নের্তৃবৃন্দ।

গতকাল সকালে ছাত্র কল্যান পরিষদের ভিপি ও  ছাত্রলীগ নেতা মাশরেফুল ইসলাম সৈকত ও জিএস আওলাদুজ্জামান সৌরভের নেতৃত্বে অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে তার কক্ষে যান। এ সময় ওই কক্ষের অধ্যাক্ষ ডাঃ আবু তাহের’র  চেয়ার নিয়ে ক্যাম্পাসে বেড় হন। বিষয়টি মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ সময় ছাত্র কল্যান পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে উপাধক্ষ্য ডাঃ মাকমুমুল হক দেখা করেন। কয়েক ঘন্টা পর তার নিদের্শে নেতৃবৃন্দরা আসবাবপত্র অধ্যক্ষের কার্যালয়ে ফেরৎ আনেন।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ ডাঃ আবু তাহের বলেন, ছাত্ররা মসকরা হয়েছে। এটিতে দোষের কিছু নেই। তাবে ওদের দাবীর বিষয়টি পরিকল্পনাধীন আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। উপাধক্ষ ডাঃ সৈয়দ মাকসুমুল হক বলেন এটি ছাত্রদের একটি প্রতিবাদ সরুপ। তারা অধ্যক্ষের চেয়ার নিয়ে প্রতিবাদ করেছে তাদের ন্যায্য দাবী পূরন না হওয়ায়। তবে এ ঘটনায় শেবাচিম অধিকাংশ শিক্ষক ও ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতা-কর্মিসহ সাধারন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।