হিজলায় নির্বাচনী সহিংসতায় ৯ জন আহত

সহিংসতায় বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৯ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে। এ সময় একতা বাজারে ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি ফয়েজ হাওলাদারের দোকান ভাংচুর ও লুট এবং পূর্ব চরের খলিল খা’র ৩টি গরু লুট করে নেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম মিলনের ছোট ভাই শাকিল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি  হাবিব সরদার ও সাধারন সম্পাদক আলাউদ্দিন দফাদারের নেতৃত্বে ঐ ত্রাস চালায়।

ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক গাফফার তালুকদার জানান, অব্যাহত নদী ভাঙ্গনের কারণে হিজলা গৌরবদী ইউনিয়নের সিমানা ক্রমশঃই সংকুচিত হয়ে আসছে। এ কারনে সীমানা পুননির্ধারন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য হাইকোর্টের রিট করেন তিনি। রিটের প্রেক্ষিতে উচ্চাদালত সীমানা পুননির্ধারন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেন।

গতকাল এ খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিদ্বন্দ্বি নজরুল ইসলাম মিলনের ভাই শাকিলের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক ক্যাডার মোটর সাইকেল মহড়া নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃস্টি করে। পরে একতা বাজারে যুবদল নেতা ফয়েজ হাওলাদারের দোকান ভাংচুর এবং মালামাল লুট, চরকুশরিয়ায় বিএনপি কর্মী সেকান্দার, ফারুক, ছত্তার, জাহের, মাইনুল, বিষর গ্রামে আনোয়ার ও হযরত আলী এবং চর দেবুয়ায় জামাল ও ফারুককে মারধর করে। একই সময়ে তারা পূর্ব চরের বিএনপি সমর্থক খলিল খা’র ৩টি গরু লুট করে বলে অভিযোগ করেন বর্তমান চেয়ারম্যান গাফফার তালুকদার।

উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মিলন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। হিজলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল হোসেন বলেন, এ রকমের কোন খবর তার জানা নেই। তিনি বলেন, কিছু গুজব এবং কিছু উদ্দেশ্যমূলক। একটি পক্ষ নির্বাচন নিয়ে পুরো পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তুলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।