ফের অশান্ত সন্ত্রাসের জনপথ বরিশালের ভংগা গ্রাম

অনেকেই এখন রুস্তুম খান বাহীনির অত্যাচারে বাড়ী ছাড়া । একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকরে সে রয়েছে বহাল তবিয়তে। ডজন খানেক মামলা ও মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা থাকলেও থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছেনা।

ফলে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে রুস্তুম ও তার বাহীনির সন্ত্রাসীরা। ২০০৮ সালে একই গ্রামের ব্যাবসায়ী ইসমাঈল খার বাড়ীতে গন ডাকাতির ঘটনায় মামলায় জেল খেটে বেরিয়ে রুস্তুম ফের বেপরোয়া হয়ে ওঠে। গত ৫ জুন রাত ১০ টায় রুস্তুম তার বাহীনির হাসান, হানিফ, মাসুদ খানকে নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় একই গ্রামের নাসির খান’র বাড়ীতে। তারা ঐ বাড়ীতে ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে ভাংচুর ও লুটতরাজ চালায়। এসময় রুস্তুম বাহীনির হামলায় গুরুতর আহত হয় নাসির খানের স্ত্রী ফাহিমা বেগম, ছেলে রফিকুল ইসলাম খান, পার্শ্ববর্তী ঘড়ের মুকুল বেগম। আহতরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহত নাসির খান জানান, কোনকিছু বুঝে ওঠার পূর্বেই সন্ত্রাসীরা ঘরের দরজা ভেংগে ঠুকে মারধর ও ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় তাদের কেন এভাবে করা হচ্ছে জানতে চাইলে শুরুহয় মধ্য যুগিয় কায়দায় নির্যাতন। সন্ত্রাসীরা ঐ সময় আমার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করে। কোন প্রকার আবেদন তারা শুনতে নারাজ। তাদের বক্তব্য হল জেল থেকে বেরিয়ে টাকার অভাবে আছি। ১ লাখ টাকা দিতে হবে অন্যথায় দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। পরে বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসিরা তাদের ধাওয়াকরে। প্রায় ঘন্টাব্যপি তান্ডব চালিয়ে তারা নগদ ২০ হাজার টাকা ও মালামাল নিয়ে চলে যায়। পরের দিন নাসির খান বিষয়টি স্থানীয় কাজির হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আলমগির হোসেনকে জানায়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি গত ৬ দিনেও।

বিগত বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলের দুর্ধষ সন্ত্রাসী রুস্তুম জেল থেকে ছাড়া পেয়ে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসলেও থানা পুলিশের কোন মথা ব্যাথা নেই। ভংগা গ্রামে এ বাহীনি প্রতি রাতেই কোন না কোন বাড়ীতে হানা দিয়ে লুটপাট করলেও তাদের ভয়ে কেউই মামলা করতে শাহস পাচ্ছে না। এ বিষয়ে আলাপকালে মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি জানান, রুস্তুম জামিনে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, ধর্ষন, লুটপাটসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। ঐ সকল মামলায় জামিনে থাকায় গ্রেপ্তার করা যাচ্ছেনা। এখন মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।