কাউন্সিলর মর্ত্তুজার প্রভাবে বরিশালে সিডিসির নির্বাচন স্থগিত

কেন্দ্র করে ২নং ওয়ার্ডে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে।  সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক ফের স্ব স্ব পদে বহাল থাকতে চাচ্ছেন। কিন্তু এই দুই ব্যাক্তির নানাবিধ অনিয়ম দূর্নীতিতে অতিষ্ঠরা নতুন মুখদের সভাপতি-সম্পাদক পদে বসাতে আগ্রহী নয়। এ নিয়ে দু’গ্র“পের মধ্যে হট্রগোলে সোমবার রাতে নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে। অপরদিকে নির্বাচন কমিশন তাপস এবং মিনু রহমানকে উপেক্ষা করে কমিটি গঠন করার চেষ্টা করে  কাউন্সিলর মর্ত্তুজা আবেদীন। তিনি সাবেক কমিটির সভাপতি সম্পদককে পুনরায় ক্ষমতায় বসাতে চাচ্ছেন। এতে  কমিশন নির্বাচন বাতিল বলে ঘোষনা করলেও সিদ্ধান্ত মানতে অপরাগতা প্রকাশ করে  কাউন্সিলর। পরে  সংঘর্ষ হওয়ার আগেই কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় উত্তেজিত জনতা পূর্বের কালা খা বাড়ির , খ্ষ্টৃান কলোনী, বিবির বাড়ির সিডিসির হিসাব দেখানোর দাবী জানান।

জানাগেছে, ২নং ওয়ার্ডে  সিডিসি (গোষ্ঠী উন্নয়ন সংস্থা) নব কমিটি সোমবার বিকেলে গঠন করার কথা। এ লক্ষে নির্বাচনের স্থান নির্ধারন করা হয় কাউনিয়া বিসিক আদর্শ পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়। সভাপতি প্রার্থী ছিলেন হোসনেয়ারা বেগম ও ঝর্না দাস। সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন ইয়াসমিন খুকু ও লূৎফুন্নেছা বেগম। এদের মধ্যে ঝর্না দাস ও ইয়াছমিন খুকুকে নির্বাচিত করা হলে পূর্বের সব হিসেব নিকেশ বা দূর্নীতির চিত্র প্রকাশ পাবে না। যে কারনে কমিশনার মর্ত্তুজা তাদেরকে সভাপতি ও সম্পাদক পদে আসীন করতে চেয়েছিলেন। তাদেরকে আসীন করার জন্য কমিশনার নিজে নির্বাচন ভূতের মধ্যে দাড়িয়ে থেকে  ভোট গ্রহন করছিলেন। এতে বাধা দেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু মর্ত্তূজা কমিশনার তাদের এই বাধা উপেক্ষা করে ঘোষনা দেয় ২নং ওয়ার্ডের কমিটি না হলে বরিশালের কোথায়ও নির্বাচন বা কমিটি হবে না। পরে উত্তেজিত জনতার তোপের মুখে  নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হয়।

ওদিকে পুরাতন কমিটির সদস্য হোসনেয়ারা, পারভীন, ডলি হাওলাদার, রাশিদা বেগম, নিলুফা বেগম সহ প্রত্যেক সদস্যরা পূর্বের সিডিসির দূর্নীতির চিত্র তুলে ধরে জানান, সাবেক সভাপতি ইয়াসমিন খুকু ৫০হাজার ৪শত সত্তর টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাছারা পূর্বের কালা খা বাড়ির , খ্ষ্টৃান কলোনী, বিবির বাড়ির সিডিসির হিসাবও দেখানোর দাবী জানান তারা। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের  সদস্য মিনু রহমান বলেন, কাউন্সিলর মর্ত্তূজা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে তার মনোনীত প্রার্থীকে জয়ী করার চেষ্টা করেছিল। তার এরকম অবৈধ পন্থায় বাধা প্রদান করেছি।

কাউন্সিল মর্ত্তুজা আবেদীন বলেন নির্বাচনে আমার প্রভাব বিস্তার করার কোন প্রশ্নই আসে না। আর নির্বাচন স্থগিত করা হয় নি। নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।