মাদ্রাসা ছাত্র কর্তৃক বাস ষ্টাফদের মারধরের প্রতিবাদে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে ঘন্টাকালব্যাপী অবরোধ

যাত্রীদের চরম ভোগান্তি
নসিমন চালকদের পক্ষ অবলম্বন করে মাদ্রাসা ছাত্র কর্তৃক যাত্রীবাহি লোকাল বাসের ষ্টাফদের মারধরের প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদীর বেজগাতি এলাকায় প্রায় দেড় ঘন্টাকালব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করেন বাস ষ্টাফরা। এ সময় মহাসড়কের দু’পার্শ্বে প্রায় শতাধিক যানবাহন আটকা পরে। ফলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। দেড়ঘন্টা পর গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশ হামলাকারীদের বিচারের আশ্বাস দেয়ার পর সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আহত সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীবাহি লোকাল বাস মক্কা পরিবহন বরিশাল থেকে ভূরঘাটা যাওয়ার পথিমধ্যে সকাল ১০ টার দিকে গৌরনদীর বেজগাতি নামক এলাকা অতিক্রম করছিলো। এ সময় বিপরীতদিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির ইঞ্চিনচালিত নসিমনকে সাইড দিতে গিয়ে যাত্রীবাহি লোকাল বাস বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়। এ নিয়ে লোকাল বাসের ষ্টাফদের সাথে নসিমন চালকের বাকবিতন্ডা বাঁধে।
এক পর্যায়ে নসিমন চালক হানিফ ঘরামীর পক্ষ অবলম্বন করে মহাসড়কের পাশ্ববর্তী বেজগাতি গাউছিয়া আলীম মাদ্রাসার কতিপয় ছাত্র বাস ষ্টাফদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় বাস চালক মোঃ আজম, সুপার ভাইজার মনির হোসেন, হেলপার আব্দুর রশিদ ও বাবু আহত হয়। এ ঘটনার জের ধরে বাস ষ্টাফরা মহাসড়কের ওপর আড়াআড়ি করে তাদের গাড়ি রেখে অবরোধ করেন। বেলা সাড়ে ১১ টায় গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশ হামলাকারীদের ও নসিমন চালকের বিচারের আশ্বাস দেয়ার পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ১২ টি নসিমন আটক করা হয়েছে। বাস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মামলা দায়ের করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।