অতঃপর বিএম কলেজ ছাত্রকর্ম পরিষদের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের মামলা

নিয়ে মিছিল মিটিং সমাবেশ ও সাংবাদিক সম্নেলনের পর এবার নয়া অধ্যায়ের সূচনা করেছে বিএম কলেজ ছাত্রদল। কর্ম পরিষদ গঠন হওয়ার ৭দিন পর প্রধান বিরোধী দল বিএনপির অঙ্গ সংগঠন বিএম কলেজ ছাত্র দলের পক্ষ থেকে কর্ম পরিষদের বিরুদ্ধে এবার  মামলা দায়ের করা হয়েছে। কর্ম পরিষদের সভাপতি, ভিপি, জিএস ও এজি এস সহ ২৭জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বরিশাল যুগ্ন জেলা জজ প্রথম আদালতে এ মামলা দায়ের কার হলে আদালত কর্তৃক ছাত্র কর্ম পরিষদকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। সেই সাথে কেন কর্ম পরিষদকে অবৈধ ঘোষনা করা হবে না সে মর্মে কলেজ অধ্যক্ষকে ৩ দিনের মধ্যে কারন দর্শাতেও বলা হয়েছে। (মামলা নং৫৮/২০১১) বিএম কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মশিউর রহমান মঞ্জু বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়েছে, বি এম কলেজ ছাত্র সংসদ বাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০২ সালে। ৯ বৎসর যাবৎ বাকসুর নির্বাচন না হওয়ায় সংবিধানের ৪১নং ধারার বিধানের আলোকে  ১নং বিবাদী ছাত্র সংসদের সভাপতি হিসেবে ওই সংসদের নির্বাচন গ্রহন করা উচিৎ ছিল। কিন্তু তা না করিয়া কলেজ অধ্যক্ষ ড.ননী গোপাল দাস ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রলীগের অবৈধ প্রভাবে সংবিধানের ৪১নং বিধান লংঘন করে ৫৩ (ক) ধারার বিধান মতে অসুম্পূর্ন কর্ম পরিষদ গঠন করে। এ ছাড়া মামলায় উল্লেখ করা হয় কর্ম পরিষদের ২৭টি পদের মধ্যে ১টি পদ ছাত্র ইউনিয়ন, ২টি পদ ছাত্র মৈত্রী ও ১টি পদ জাসদ ছাত্রলীগ ও ১টি  পদ ছাত্র সমাজকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ক্যাম্পাসের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন ছাত্র দল ও ছাত্র শিবিরকে কোন পদ দেয়া হয়নি। মশিউর রহমান মঞ্জু’র দায়ের করা এই মামলার আসামীরা হলেন সভাপতি ড. ননী গোপাল দাস, সহ সভাপতি মঈন তুষার, সাধারন সম্পাদক নাহিদ সেরনিয়াবাত, সহ-সাধারন সম্পাদক সৈয়দ শামছুদ্দোহা আবীদ, সাহিত্য সম্পাদক পংকজ কুমার বিশ্বাস, সহ সাহিত্য সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শিশির সহ শামিল শাহারুখ তমাল, কাজী মিলন, ফয়সাল আহমেদ মুন্না, আতিকুল্লাহ মুনিম, গোলাম মোস্তফা সেরনিয়াবাত, মোখলেছুর রহমান মনি, জোবায়ের আলম, পিজুষ চন্দ্র, সোনিয়া আক্তার, নূরুল আম্বিয়া বাবু, মেহেদী হাসান, মিজানুর রহমান, নূর আল আহাদ, সজল দাস, হাবিবুর রহমান, আরিফ হোসেন, শিরিন আক্তার ও মুনতাহা বিনতে নূর। এ বিষয়ে বিএম কলেজ ছাত্র কর্ম পরিষদের ভিপি মঈন তুষার ও জিএস নাহিদ সেরনিয়াবাত জানান, কর্ম পরিষদের সভাপতিকে কারন দর্শানোর যে নোটিশ দেয়া হয়েছে অবশ্যই আদালতের প্রতি সম্নান জানিয়ে তার জবাব দেয়া হবে। এ ছাড়া কর্ম পরিষদ সম্পর্কে তারা বলেন কর্ম পরিষদ অবশ্যই বৈধ ও গঠনতন্ত্রনুযায়ী।