আসলে কোনটি সত্য ?

পর্যন্ত সারারাত ৪ শতাধিক বোমার বিস্ফোরণের ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষক জড়িত থাকা না থাকার বিষয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের ২টি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। পুলিশের প্রতিবেদন আদালতে মামলার বিচার কাজে ও  নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন মামলা থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার জন্য হওয়ায় এই বিপরিতমুখী প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ ও ভুক্তিভোগী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯জুন উপজেলার চরদৌলত খাঁ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটের দিন প্রথম প্রহরে মহব্বত আলী নামের এক বৃদ্ধ খুন হয়। ঐ দিন সারারাত চেয়ারম্যান প্রার্থীদ্বয় সরদার মো: আবদুল মান্নান ও চানমিয়া সিকদারের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হামলা পাল্টা হামলায় প্রায় ৪শতাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। খুনের ঘটনায় কালকিনি থানায় ৪০জনকে আসামী করে মামলা করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এস.আই) আজিজুর রহমান মাদারীপুর পুলিশ সুপার ও কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে আলোচনা করে হত্যা মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেণ। আদালতে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে তিনি বোমা বিস্ফোরিত হওয়ার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান চানমিয়া সিকদার ও চরদৌলত খাঁ দাখিল মাদরাসার শিক্ষক আরিফ হোসেনসহ ১৪জনকে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে আসামী করে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

শিক্ষক আরিফ হোসেন নির্বাচনী কাজে একদিন আগে থেকেই অন্য ইউনিয়নে নিয়োজিত থাকলেও তিনি কীভাবে উক্ত এলাকার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকলেন? বিষয়টি প্রশাসনসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। তিনি উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত না থাকার প্রমাণপত্র ইতোমধ্যে হাইকোর্টে দাখিল করে আগাম জামীন নিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, চরদৌলত খাঁ দাখিল মাদরাসার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আরিফ হোসেন গত ১৯জুন অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়ে নির্বাচনের আগের দিন বিকাল ৩টার সময় আমার কার্যলয় থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোটকেন্দ্রে পূর্ব বালিগ্রাম স্বল্পব্যয়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করেণ এবং নির্বাচন শেষ পর্যন্ত ভোট গণণা, ফলাফল প্রকাশ, প্যাকিং ও কালকিনিতে ফলাফল নিয়ে আশা পর্যন্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের সাথে ছিলেন। এটা সবারই জানা, এই মর্মে একটি প্রত্যয়নও দেয়া হয়েছে।

শিক্ষক আরিফ হোসেন বলেন, ওই ঘটনার সাথে আমি উক্ত এলাকায় ছিলাম না তার প্রত্যয়ন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দিয়েছেন। এই প্রত্যয়ন হাইকোর্টে দাখিল করে আগাম জামীন পেয়েছি, এখন যথাযথ সময়ে মাদারীপুর জেলা আদালতে দাখিল করা হবে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, নির্বাচন অফিসের প্রত্যয়ন উনি (আরিফ হোসেন) আগে আমাদের কাছে দিলে মামলা থেকে বাদ দিয়ে চুড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতাম। এখন ওই প্রত্যয়ন আদালতে দাখিল করলে তিনি রেহাই পেয়ে যাবেন।