Menu Close

এক ইউপি সচিবের কান্ড

বসেছে বরিশালের কাশিপুর ইউপির চৌকিদার মোঃ আদম আলী । ২০০৭ সালে তৎকালীন সচিব সুবোধ চন্দ্র দাস চৌকিদার আদম আলীর  কাছে মাত্র ১০ হাজার টাকা দাবী করে । দাবীকৃত টাকা না দেয়ায় ঐ বছরই সচিব চৌকিদারের চাকুরীর বয়সনিয়ে আপত্তি করে এবং তাকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেয় । পরে চৌকিদার তার চাকুরীর বয়স রয়েছে বলে আবেদন করে । তখন বরিশালের সিভিল সার্জন এর মাধ্যমে মেডিকেল রিপোর্ট এনে চাকুরীতে বহাল হন তিনি । চলতি বছর ফের একই ভাবে বর্তমান সচিব জামায়াত নেতা সাইদুর রহমান তার নিকট ২৩ হাজার টাকা দাবীকরে । ঐ টাকা না দিলে তার চাকুরীতে ঘ্যাপলা হতে পারে বলেও হুমকি দেয় সচিব । পরে সে চৌকিদারের চাকুরীর বয়স ওভার হয়েছে এবং তাকে অব্যাহতি নিতে চিঠিদেয় । এর পর অসহায় ঐ চৌকিদার বরিশালের জেলা প্রশাসকের কাছে চাকুরী ফিরে পেতে আবেদন করে । ঐ আবেদনের প্রেক্ষিতে খোজ নিলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য । ২০০৫ সালে কাশিপুর ইউপির চৌকিদারদের সার্ভিস বই তৈরীহয় । ঐ সার্ভিস বইতে তৎকালীন সচিব তার ইচ্ছে মাফিক বয়স লেখান ২৫.০৫.১৯৪৮ এবং চাকুরীতে যোগদানের তারিখ দেখানো হয় ২৫ জুন ১৯৮১। কিন্তু চেীকিদার আদম আলীর জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্রে তার জন্ম তারিখ রয়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯ সেক্ষেত্রে তার চাকুরীর বয়স গতকাল পর্যন্ত ৫১ বছর ১১ মাস ৭ দিন। সে ক্ষেত্রে তার চাকুরীর বয়স সিমা  আরো ৫ বছর রয়েছে । এসব কোন কিছুই মানতে নারাজ কশিপুর ইউপির বর্তমান সচিব সাইদুর রহমান। তার ছাফ বক্তব্য হচ্ছে ২০০৫সালের সার্ভিস বইতে যে বয়স রয়েছে তাই মানতে হবে । ২০০৭ সালে করা জাতীয় পরিচয় পত্রের বয়স গ্রহন যোগ্য নয় তার কাছে ।

জেলা প্রশাসনে করা আবেদনে কোন ফল না হলে সংশ্লিষ্টদের আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করার কথা জানালেন চৌকিদার আদম আলী। তিনি বলেন ২০০৭ সালে জাতীয় পরিচয় পত্রে তার বয়স ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯ বছর লেখা হয়েছে । তখন আমার বয়সের বিষয়টি তৎকালীন সচিবকে অবগত করা হলেও সে তা আমলে না নিয়েই সার্ভিস বই তৈরি করেছেন । যার খেসারত দিতে হচ্ছে আমাকে । তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাস্ট্র মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন । এবিষয়ে আলাপকালে ইউপি সচিব সাইদুর রহমান বলেন ভূলতো আমি করিনাই । ২০০৫ সালের তৎকালীন সচিব করেছে । এখন সে হিসেব মতে তার চাকুরীর বয়স শেষ । এখন আমার করার কি আছে । কাশিপুর ইউপির চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল ইসলাম হাওলাদার র বলেন বিষয়টি এখন আদালতই ফয়সালা দিতে পারে । আমাদের করার কিছুনেই ।