বরিশালে যোগাযোগ ও নৌ মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি

মন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগের দাবী করেছে ২৭টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের জোট সম্মিলিত সংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ। সড়ক ও নৌ-পথে দূর্ঘটনা রোধ ও ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটের রোটেশন প্রথা বাতিলের দাবিতে আয়োজিত মানবন্ধনে এই দাবি জানানো হয়। শনিবার বেলা ১০টায় নগরীর সদর রোডে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এই মানববন্ধন হয়। ‘দূর্ঘটনায় নয়, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যরান্টি নিশ্চিত করা ও নৌ-রুটের রোটেশন পদ্ধতি বাতিল কর’ শ্লোগান নিয়ে আয়োজিত এই মানব বন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জোটের সভাপতি এ্যাডভেকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষবিদ প্রফেসর মোহম্মদ হানিফ, প্রেসক্লাব সভাপতি বনবেন্দ্র বটবেল, শিশু সংগঠক জীবন কৃষ্ণ দে, সাং®কৃতিকজন সৈয়দ দুলাল, কাজল ঘোষ অধ্যপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল, দাশ গুপ্ত আশীষ কুমার, জগলুল হায়দার শাহিন প্রমূখ। এতে বক্তরা বলেন, দেশের সড়ক ও নৌপথের অবস্থা এমনই হয়েছে যে, স্বাভাবিক মৃত্যুর কোন গ্যারান্টি নেই। সড়ক দূঘটনায় মিশুক মুনির ও তারেক মাসুদ,  মিরসরাইয়ে ৪৪ স্কুল ছাত্রসহ গত এক বছরে প্রায় শতাধিক বিশিষ্ট জন ও মেধাবি মুখ আমাদের হারাতে হয়েছে। যোগাযোগ মন্ত্রীর আচার আচরন দেখে মনে তার মতে এত বড় দূর্ঘটনা যেন কিছুই হয়নি।  বক্তারা আরো বলেন, রাজধানী ঢাকার সাথে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগর প্রধান মাধ্যম নৌ-পথ। অথচ গুটিকয়েক মুনাফলোভি ক্ষমতাধর লঞ্চ মালিক সিেিন্ডকেটের মাধ্যমে রোটেশন প্রথা চালু করে। ধারন ক্ষমতার অধিক যাত্রী বহনের ফলে নৌ-পথে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঝুকি বাড়িয়ে দিয়েছে। নৌ-মন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে রোটেশন বাতিল করার ঘোষনা দিলেও আজও তা বাস্তবায়ন করেননি। বরিশাল- ঢাকা নৌ-রুটে চলাচল অযোগ্য ফিটনেস বিহীন লঞ্চ চলছে। অন্য দিকে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান খানা খন্দে আরো ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কিন্তু যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এসব সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তাদের  পদত্যাগ করা উচিত বলে বক্তারা মন্তব্য করেন।