শাহীন হাসান, বরিশাল ॥ সারাদেশে জামায়াতের নাশকতামূলক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে গতকাল বাকেরগঞ্জে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরকারি বাকেরগঞ্জ কলেজ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ডাকুয়ার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আমিরুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আবুল কালাম, রাশেদ রায়হান জুয়েল, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি কাওছার আহম্মেদ, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ মহিদুল ইসলাম মিরাজ, সাধারন সম্পাদক মুশফিকুর রহমান দোলন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত, আসাদুল ইসলাম রাজু, এস এম দেলোয়ার প্রমুখ।
বাকেরগঞ্জের আরো খবর:
বাকেরগঞ্জে সন্ত্রাসীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে একটি পরিবার
বাকেরগঞ্জে নিয়ামতি ইউনিয়নে টেংরাখালি গ্রামের মানিক সিকদারের পরিবারটি সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার চিহ্নিত জবেদ বাহিনী ঐ পরিবারটির উপর নির্মম অত্যাচার চালিয়ে গ্রামছাড়া করেই ক্ষান্ত হয়নি, তাদের উপর চালিয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে হারুন, মানিক, জামাল ও লতিফকে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাড়িয়ে দিয়ে তাদের ঐ বাড়িতে গরু ও পুকুরের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে। সন্ত্রাসী জবেদ আলী, রুস্তুম, শাহজাহান, আশ্রাব, শহীদ, রশিদ নামের একটি চিহ্নিত গ্র“পটি মানিক সিকদার গংদের এক বছর পূর্বে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে বাড়ি ছেড়ে টেকেরহাটে বসবাস করছে। মানিক সিকদার অভিযোগ করে আরো বলেন জবেদ আলী বাহিনীদের কাছে রয়েছে মারাত্বক অস্ত্রসস্ত্র। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী থাকে আতঙ্কে। আলোচিত নিয়ামতির ডাকাতি মামলায় অন্যতম আসামী সন্ত্রাসী শাহাজাহান ৩/৪ মাস হাজত খেটে জামিনে বেড়িয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য টেংরাখালী গ্রামের এই সিকদার বাড়ি নামক স্থানটির আশেপাশে কোন ঘরবাড়ি না থাকায় জায়গাটি এখন সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রম হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। জবেদ সিকদারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া না গেলেও তার নিকট আত্মীয়রা জবেদ আলী ও শাহাজাহানদের নিরাপরাধ বলে দাবী করেছেন। এ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান কামাল তালুকদার ও ইউপি সদস্য শেখ রিপন বলেন, এই গ্রামটিতে সন্ত্রাসীদের আনাগোনা লক্ষ করা গেলেও পুলিশ অভিযান করলেও মূল সন্ত্রাসীরা রয়েছে ধরাছোয়ার বাইড়ে। তাই পুলিশের অভিযান সফল হয়নি। এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান কামাল আরো বলেন, প্রকৃত সন্ত্রাসীরা যে দলেরই হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি হওয়া দরকার।