ঝালকাঠিতে ওএমএস’র গন্ধযুক্ত চাল

আহমেদ আবু জাফর, ঝালকাঠি ॥ ঝালকাঠিতে ওমএমএস ডিলারদের মাধ্যমে নিম্মমানের চাল দেয়ায় বিক্রিতে ক্রেতা মিলছেনা। চাল নিম্মমানের হওয়ায় ক্রেতারা খুবই সামান্য পরিমানে কিনছে। তাই এ চাল নিয়ে ডিলাররা পড়েছে বিপাকে, বসেই সময় কাটাচ্ছে তারা। ক্রেতাদের অভিযোগ এ চাল রান্নার পরে ভাত গন্ধযুক্ত হওয়ায় খাবার অনুপযোগী। চাহিদানুপাতে ক্রেতা না থাকায় এক দিনের চাল গুদাম থেকে ছাড়িয়ে ২/৩ দিন ধরে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই সাধারন চালের বাজারে ওএমএসের কোন প্রভাব পরেনি।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ জন ডিলারের মাধ্যমে ঝালকাঠিতে ওএমএস চাল বিক্রি শুরু হয়। প্রতি ডিলার দৈনিক ১ টন  চাল পাবে। ২৪ টাকা কেজি দরে এ চাল বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের শনিবার বিক্রি বন্ধ থাকবে। শহরের বারোচালা ওএমএস চাল ডিলার হাসান সিকদার এর বিক্রয় প্রতিনিধি সানি সিকদার জানান,  প্রথম দিন চাল বিক্রি হয়েছে ভালই। কিন্তু এরপর থেকে চাল তেমন চলছেনা। এবার চিকন চাল হলেও চালের মান খারাপ। তাই ক্রেতারা এ চাল না কিনে বাজার থেকে বেশী দামে মোটা চাল কিনছে।

রিকসা চালক সত্তার মিয়া, আবাসন প্রকল্পের জরিনা বেগমসহ একবার এ চাল নেয়া অনেকেই বলেছে, ২৪ টাকা দিয়া পচা চাউল কিনমো ক্যান। আমরা গায় খাইট্টা টাকা কামাই বইল্ল্যা আমাগো টাহার কি দাম নাই। ৩/৪ টাহা বেশী হইলেও বাজার দিয়া এক কেজি ভাল চাউল নিয়া খামু। রবিবার দুপুরে ঝালকাঠি শহরের বারোচালায় ওএমএস’র ডিলার হাসান সিকদারের দোকানে গিয়ে  দেখা যায় কোন ক্রেতা নেই। তবে চাহিদানুপাতে চাল বিক্রি না হলেও এ চাল কোথায় যায় তার কোন সদুত্তোর দিতে পারেনি কোন ডিলার।

তবে একটি অসমর্থিত সূত্রে জানাযায়, ডিলারদের কাছ থেকে এ চাল কিনে বাজারের খুচরা বিক্রেতারা অন্য চিকন চালের সাথে মিশিয়ে বেশী দামে বিক্রি করছে। শহরের অন্যতম চলের বাজার  বারোচলার চাল ব্যবসায়ী স্বপন সাহা জানালেন, এর আগে ওমএমএস’র চাল দেয়ায় বাজারে প্রভাব পড়তো। কিন্তু এবার ওমএমএস’র চাল নিম্মমানের হওয়ায় বাজারে এর কোন প্রভাব পড়েনি।

এ প্রসঙ্গে ঝালকাঠি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান বলেন, মানুষের অভাব কম তাই ওএমএস’র চালের চাহিদাও কম। চালের নিম্মমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আমদানী  করা চাল এর চেয়ে ভালো হওয়া সম্ভব নয়। আসলে চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতেই অল্প দামে এ চাল দেয়া হচ্ছে।