বরিশালে খন্দকার লিমনের পলিটিক্যাল বানিজ্য!

আহমেদ জালাল, বরিশালঃ বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক খন্দকার আবুল হোসেন লিমনের দেদারছে পলিটিক্যাল বানিজ্য চলছে। নিয়ম কানুনের ধার ধারছে না। পূর্নাঙ্গ আহবায়ক কমিটি না করেই তিনি লাখ লাখ টাকা পকেটে তুলে নেয়ার মিশনে ওয়ার্ড কমিটির নামে পকেট কমিটি গঠনের তোড়জোর চালাচ্ছেন। হতবাক ছাত্রদলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। খোদ ছাত্রদলের মধ্যে থেকেই প্রশ্ন উঠেছে চল্লিশোর্ধ লিমনের এ কোন দশা? মুলত অযোগ্যদের নেতৃত্বে বসিয়ে উৎকোচ বানিজ্য করতেই সে এহেন কর্মকান্ডে সম্পূক্ত হচ্ছেন বলে একাধিক ছাত্রনেতাদের অভিযোগ। এর আগে অভিযোগ উঠে যে, লিমন অসাংগঠনিক। লিমনকে সংগঠনের আহবায়ক করা মানে সংগঠনের সাংগঠনিক কর্মকান্ড অচল করে দেয়া। এই লিমনকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরাই প্রশ্ন করেছিল যে ভাই আপনি তো স্বেচ্ছাসেবক দলের মহানগর নেতা একই সঙ্গে ২১ নংওয়ার্ডের বিএনপি নেতাও এরপরও আপনি ছাত্রদলের আহবায়ক হলেন কেন! তখন লিমনের উত্তর আসে আমি তো হতে চাইনি আমাকে এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার ভাই আহবায়ক করিয়াছে। এতে পরিস্কার হয় যে লিমন অসাংগঠনিক, অযোগ্য। ওদিকে নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে ইতোমধ্যে এ বিষয়ে এক বৈঠকও হয়েছে।

খন্দকার আবুল হোসেন লিমন জানান পূর্নাঙ্গ আহবায়ক কমিটি না করে ওয়ার্ড কমিটি করা যায়। এতে কোন সমস্য নেই। এদিকে মহানগর ছাত্রদলের ত্যাগী ও সাংগঠনিক নেতা হিসাবে পরিচিত ১ নং সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আমিনুল ইসলাম লিপন জানান সংগঠন চলবে গঠনতন্ত্র অনুসারে। গঠনতন্ত্রের বিরোধিতা করে অন্যপন্থা অবলম্বন মানে সংগঠনকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। তিনি জানান গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে পূর্নাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠনের পরই ওয়ার্ড কমিটি করতে হবে।