খোন্দকার কাওছার হোসেন : ঢাকা-সিলেট রোর্ডমার্চ কর্মসূচিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১০টি পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখবেন, ১৫টি স্থানে নেতাকর্মীসহ এলাকাবাসীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন এবং ১টি স্থানে যাত্রা বিরতি করে বিশ্রাম নিবেন। সফরসূচি এভাবেই চুড়ান্ত করা হয়েছে বলে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ বেশ কিছু দাবিতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর নয়াপল্টনের সমাবেশ থেকে ঢাকা-সিলেট অভিমুখে রোডমার্চের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আগামী ১০ অক্টোবর সোমবার সকাল ৯টায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় থেকে সিলেটের উদ্দেশে এ রোড মার্চ শুরু হবে। পরদিন ১১ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় সিলেটের জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।
দলের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, যাত্রাপথে খালেদা জিয়াকে ১৫টি স্থানে দলের নেতা কর্মীরা স্বাগত জানাবেন। ১০টি স্থানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখবেন, ১টি স্থানে যাত্রা বিরতি করে বিশ্রাম নিবেন।
প্রথম সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেবেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে। সেখানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন। এছাড়া নরসিংদীতে খায়রুল কবির খোকন, জেলার মারজন নামক স্থানে ড. মঈন খান, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শরফুদ্দিন আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোট্টা পারায় সাবেক মন্ত্রী হারুনার রশিদ ও উকিল আব্দুস সাত্তার, মাধপপুরে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ফয়সাল, শায়েস্তাগঞ্জের আউশকান্দিতে শেখ সুজাত আলী এমপি, মৌলভীবাজারের শেরপুরে জেলা সভাপতি নাসের রহমান খালেদা জিয়াকে স্বাগতম জানাবেন। খালেদা জিয়া এসব এলাকায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। খালেদা জিয়ার গাড়িবহর মাধবদীতে আধাঘন্টা যাত্রাবিরতি করবে। এখানে তিনি বিশ্রাম নেবেন।
রোর্ড মার্চ পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশররফ হোসেন ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দিনের কোনো এক সময় সিলেটের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। এ সময় লংমার্চ যেসব জেলার ওপর দিয়ে যাবে এবং যেখানে যেখানে পথসভা ও শুভেচ্ছা বিনিময় হবে সেসব জেলা ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন। এবং সিলেটে অবস্থান করে তিনি রোডমার্চ ও জনসভার প্রস্তুতির সার্বিক তদারক করবেন।
এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজ তার সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিশাল এ রোডমার্চের সার্বিক সাফল্য ও চেয়ারপারসনের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের ভেবে দেখতে হচ্ছে।