বরিশালে বিচারের বানী নিরবে নিভৃতে কাঁদে

ফিরোজ মোস্তফা, বরিশালঃ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে মৃতুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকার বরিশালে বিচারের বানী নিরবে নিভৃতে কাঁদেমোঃ আব্দুল হামিদ লিটন। তার উপার্জিত ১২ লক্ষ টাকা থাকতেও ঢাকার বংশালের স্টীল ব্যবসায়ী লিটননের সুচিকিৎসা করাতে পারছেন না তার স্ত্রী রেশমা আক্তার আঁখি। সন্ত্রাসীদের ভয়ে ৮ মাসের এক মাত্র শিশু পুত্র আব্দুল্লাহ আল আপনকে নিয়ে পালিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য স্বামীকে ভর্তি করেছেন। পাশাপাশি বিচারের দাবীতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেরাচ্ছেন।

কান্না জড়িত কন্ঠে লিটনের স্ত্রী রেশমা আক্তার আঁখি বলেন চলতি বছর ফেব্রুয়ায়ারী মাসে আমার স্বামীর ব্রেন ক্যানসার ধরা পরে, তার চিকিৎসায় প্রতিদিন প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। সে টাকা যোগার করতে আমি বর্তমানে হিমশিম খাচ্ছি অথচ আমার স্বামী গত ১৭ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় বংশাল থানার নাজিরা বাজারের নিচতলার ২৪/২ দোকান ঘরটি মালিক মোঃ বদির উদ্দিন বুলবুল কে ১২ লক্ষ টাকা অগ্রীম দিয়ে মেসার্স লিটন এন্টারপ্রাইজ নামে স্টিলের ব্যাবসা শুরু করে, এর পরপরই তিনি শারিরীরক ভাবে অসুস্থ হয়ে পরেন ডাক্তার বলেন তার ব্রেন ক্যানসার হয়েছে। এ কারনে তিনি আর নিয়মিত দোকানে যেতে পারেন না। বাধ্য হয়ে মেয়ে মানুষ হওয়া সত্বেও দোকান চালানোর দায়িত্ব ভার গ্রহন করি। এরপর মোঃ মেজবাহ উদ্দিনকে ম্যানেজার নিয়োগ দিয়ে দোকানের জন্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার প্লেন সিট ক্রয় করি, কিন্তু গত ৩ অক্টোবর ব্যাবসা বুঝিয়ে দিতে ম্যানেজার মেজবাহ উদ্দিনকে নিয়ে দোকানে গিয়ে দেখি দোকান খোলা। দোকানের সাইন বোর্ড পরির্বতন করে অন্য লোক ব্যবসা করছেন, তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান হাজী হাবিবুল্লাহ সড়কের রিপনের মধ্যস্ততায় দোকান মালিক নাজিরা বাজারের মোঃ বদির উদ্দিন বুলবুলের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছে পাশাপাশি দোকনের মালামাল ও তিনি তাদের কাছ থেকে ক্রয় করে রেখেছেন। অমাকে সরল পেয়ে প্রতারনার মাধ্যমে রিপন ও বদির উদ্দিন আমার সবকিছু আত্মসাৎ করেছে।

গত ২৪ অক্টোবর রেশমা আক্তার আখি চুক্তিপত্র অনুযায়ী টাকা ফেরৎ চাইলে বদির উদ্দিন বুলবুল তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এর পর আমাকে স্বামী সন্তানসহ হত্যার চক্রান্ত করে এবং বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসীদের দিয়ে হুমকি প্রদান করে, তাই বাধ্য হয়ে প্রান বাঁচাতে বরিশালে পালিয়ে এসে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে স্বামীর চিকিৎসার ব্যাবস্থা করি। বর্তমানে অর্থের অভাবে চিকিৎসার খরচ চালাতে পারছি না।