বিশেষ প্রতিনিধি, বরিশাল ॥ বিএনপি নেতা এবায়েদুল হক চাঁন ও তার ভাই বজলুল হক কায়েসের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগে থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। গতকাল এবায়েদুল হক চাঁনের স্ত্রী পরিচয়ে আকলিমা আকতার রুবী চাঁন সহ তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে এ ডায়েরি করেন, যার নং ১৯০।
ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেন, জেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক বিএনপি নেতা এবায়েদুল হক চাঁন গত ১ জানুয়ারি ঢাকার বাসায় বসে বিয়ে করেন। বরগুনা পাথরঘাটার শতকর গ্রামে শামসুল আলমের কন্যা আকলিমা আকতার রুবীকে। সেখানে তারা দীর্ঘদিন যাবত স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেন। তাদের এই সময়ে স্ত্রী রুবী আকতার চাঁনের কাছে তার বিয়ের কাবিন নামাটি চাইলে তিনি তাদেরকে অস্বীকার করেন। এতে রুবী আকতার কয়েক মাস আগে ঢাকায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ৩নং আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দায়েরের পরপরই তাদের মাঝে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠলে চাঁনের নির্দেশক্রমেই আকলিমা ঢাকার বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। গত ৩ নভেম্বর রাতে এবায়েদুল হক চাঁনের বাসায় আকলিমা প্রবেশ করলে চাঁনের ভাই বজলুল হক কায়েস আকলিমার সাথে তর্কাতর্কি সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে। অবশেষে থানায় উপস্থিত হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে গতকাল রাতে আকলিমা আক্তার রুবির ফোনে কথা বললে দৈনিক বাংলার বনে’কে জানান, ঢাকার উত্তর বাড্ডায় থাকতেন এবং একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরি করতেন। তার আরো একটি বিয়ে হয়েছিল। সেখান থেকে তাদের তালাক হয়ে যায়। ৪ বছর একা বাসায় থেকে চাকুরিরত অবস্থায় গত ১ জানুয়ারী তার বাসায় এক আত্মীয় পরিচয়ে যান এবায়েদুল হক চাঁন। এরপরেই সেখানে যাওয়া-আসা করেন এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে কোন এক মাধ্যমে তাদের মধ্যে বিয়ের আলোচনা হয়। তখন চাঁন বলেছিলেন ১০ লাখ টাকা কাবিন করবে। কিন্তু পরে এক লাখ কাবিন করে রুবিকে বিয়ে করে কুলতলা কাজি অফিসের কাজী মামুনুর রশিদের মাধ্যমে। দীর্ঘদিন ঘর সংসার শেষে গত ৮ অক্টোবর তারা দু’জনে লঞ্চযোগে বরিশালে আসেন এবং চাঁনের নিজস্ব লোকের মাধ্যমে ১০ দিনের কথা বলে তার বাবার বাড়িতে রেখে আসেন। তাদের মাঝে মধ্যে কথা হলেও হঠাৎ কথা বন্ধ করে দেয়ায় রুবি গত বৃহস্পতিবার চাঁন’র বাসায় আসলে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আকলিমা আকতার রুবি।