তারেক জিয়ার জন্মদিনে কামাল পন্থীদের হামলায় উত্তপ্ত সরোয়ার পন্থীরা

শাহীন হাসান ॥  তারেক জিয়ার জন্মদিনে ২১ নভেম্বর নগরীর ঝাউতলা প্রান্তে ঘটে যাওয়অ সরোয়ার বনাম কামাল পন্থীদের হামলা-মামলার ঘটনায় হার্ডলাইনে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সরোয়ার পন্থীরা। ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল রোড এলাকায় একাধিকবার শোডাউন দিয়েছে সরোয়ার বাহিনীর সদস্যরা। পলাতক রয়েছে ঘটনার হাল নায়ক কামালপন্থী ছাত্রদল নেতা রাফসান আহমেদ জিতু ও তার সহযোগীরা। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভিপি সেন্টু ছাত্রদরের যেসব নেতাকর্মীদের নিয়ে বরিশাল নিয়ন্ত্রণ করতেন তাদের উপর জিতু বাহিনীর এই হামলার ঘটনা মানতে পারছে না সরোয়ার পন্থী ছাত্রদল। সে সময়কার সেন্টু বাহিনীর প্রধানরা জনির নেতৃত্বে পুনরায় জোট বেধে হাল ধরেছেন মহানগর ছাত্রদলের। যাদের বেশির ভাগই মহানগর ছাত্রদলের কমিটিতে রয়েছেন। যে কারণে সহিংসা মূলক ঘটনা এড়িয়ে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সরোয়ার পন্থী ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান জনিকে। গোপন একটি সূত্র জানিয়েছে, জিতুকে প্রশ্রয় দাতা ছাত্রদল সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক লিপনকে ২২ নভেম্বর মাগরিব নামাজ শেষে হাসপাতাল রোড এলাকায় পেয়ে রক্তাক্ত করার প¬ান নিয়ে ছিল বিক্ষুব্ধ একাধিক মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থে জনির হস্তক্ষেপে সে প¬ান ভেস্তে দেয়া হয়। এ বিষয় সাংসদ মজিবর রহমান সরোয়ার জানান, কোন রকম সহিংসতামূলক ঘটনা ঘটার প্রশ্নই আসে না। জিতু নামের এই ছেলেকে তিনি চেনেন না বলে উলে¬খ করে তার কর্মী-সমর্থরা বড় জোর মোটর সাইকেল মহড়া দিতে পারেন বলে উলে¬খ করেন। মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফুর রহমান জনি বলেন, তার দলের নেতাকর্মীরা সংঘাত বা ক্যাডার ভিত্তিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। জনি আরো বলেন রাজনীতিতে পেশী শক্তির কোন মূল্য নেই। প্রয়োজন মেধা ও বুদ্ধির। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনই ব্যবস্থা নিবেন বলেও মন্তব্য করেন জনি।