শাহীন হাসান, বরিশালঃ বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন ভেদুরিয়ার আলতাফ মল্লিক হত্যা মামলার ৮ আসামী এখনো পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। যদিও আসামীদের আটক করতে বন্দর থানার ওসি (তদন্ত) আফসার উদ্দিনকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম জানান, আসামীদের আটক করতে টিম ছাড়াও থানা পুলিশ ব্যাপক তৎপর রয়েছে এবং তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে নজরদারি রয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে আসামিরা মামলার পরে নিজ এলাকা ছেড়ে, অন্যত্র গা-ঢাকা দিয়েছে। প্রথমে মারামারির ঘটনায় শেবাচিম থেকে দু’জনকে আটক করা হলে পরে তাদের বিরুদ্ধে ১২ ডিসেম্বর হত্যা মামলা দায়েরের পর আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। হত্যা মামলা দায়েরের প্রায় ১৫ দিন পার হলেও আসামীদের এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ। এতে নিহতের পরিবার ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়। এ ব্যাপারে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করলে জানান, আলতাফ হত্যার একদিন পরই তার ছেলে উজ্জ্বল মল্লিক বাদী হতে মেট্রোপলিটন বন্দর থানায় ১০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল (যার নং ০৫)। মামলায় আসামী করা হয়েছিল দুলু সরদার, বাবুল, জাহাঙ্গীর আলম, খোকন খা, জুয়েল রানা, সোহেল, গিয়াস উদ্দিন, আ. বারেক, জাহিদুল ইসলাম এবং আমজাদ হোসেনকে। যদিও এদের মধ্যে ১ ও ২ নং আসামীকে ঘটনার দিন আটক করেছে পুলিশ।
মামলায় উল্লেখ করা হয় সদর উপজেলা চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের ভেদুরিয়া গ্রামের আলতাফ মল্লিক ও খোকন মল্লিক মামাত-ফুপাতো ভাই। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল। অবশেষে গত ১১ ডিসেম্বর ধান কাটা নিয়ে মারামারি হয়। প্রতি বছর ধানা কাটার সময় উভয়ের মধ্যেই এমন হামলা, মারামারি হত। প্রতি বছরের ন্যায় গত শনিবার সকাল ৯টায় আলতাফ মল্লিক তার ভাই হেলাল মল্লিক, ভগ্নিপতি জাকির, জহির হাওলাদার, ইব্রাহিম সরদার সহ ওই জমিতে ধান কাটতে গেলে প্রতিপক্ষ দুলু সর্দার, আমজাদ আলী, বাবুল সহ উল্লেখিত আসামিরা বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হলে দুলু সরদারের গ্র“প আলতাফকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে শেবাচিমে ভর্তি করা হলে আলতাফ মল্লিক মারা যান।