নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহ ও ঘনকুয়াশার কারনে বীজতলা ও রোপনকৃত ইরিক্ষেত কোল্ড ইনজুরি রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বীজতলা নষ্ট হওয়ার কারনে চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ইরি-বোরো চাষাবাদে কৃষকদের লক্ষ্যমাত্রা ব্যহৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ৯ হাজার ৮’শ ১৮হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় আনা হয়েছে। এজন্য কৃষকেরা বিভিন্ন জাতের ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন। গত দু’সপ্তাহ ধরে অব্যাহত শৈত্য প্রবাহ ও ঘনকুয়াশার কারনে কৃষকদের বীজতলা হলুদ বর্ন ও ফ্যাকাশে রং ধারন করেছে। বারপাইকা গ্রামের কৃষক প্রবীর বিশ্বাস, রবিন্দ্রনাথ হালদারসহ একাধিক কৃষকেরা জানান, তাদের নিচু জমিতে আগাম ভালো ফলন পাওয়ার আশায় ইতোমধ্যেই তারা ইরি-বোরো ধানের চারা রোপন করেছেন। ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের কারনে রোপনকৃত ইরি-বোরো ধানের ক্ষেত কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে হলুদ বর্ন হয়েছে।
উপজেলার পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের কৃষক অমল হালদার, রাম বিশ্বাস, নগরবাড়ী গ্রামের চাঁনমিয়া গোমস্তা, বাগধা গ্রামের রমেশ হালদার জানান, ঘনকুয়াশা ও প্রচন্ড শীতে তাদের বীজতলা কোল্ড ইনজুরি রোগে আক্রান্ত হয়ে অধিকাংশই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একারনে তাদের ইরি বোরো চাষাবাদের জন্য চারা সংকটে পড়তে হতে পারে। তারা কুয়াশা ও শীত কমতে থাকলে পুনরায় বীজতলা তৈরি করার কথা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত কোল্ড ইনজুরি রোগে আক্রান্ত আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ১৮ হেক্টর বীজতলা ও ৫২ হেক্টর রোপনকৃত ইরি-বোরো ধান নষ্ট হয়েছে। শৈত্য প্রবাহ ও ঘনকুয়াশার কারনে শুরু থেকেই কৃষকদের প্রতিরোধের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।