স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ানোর লক্ষ্যে গৌরনদীর দোনারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু হয়েছে

জামাল উদ্দিন, গৌরনদী ॥ প্রধানমন্ত্রির গঠিত পাইলট কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শনিবার থেকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার দোনারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু হয়েছে মিড ডে মিল। এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে স্কুলে শিক্ষার্থী বাড়ানো। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে শনিবার দুপুরে উপজেলার দোনারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় লোকজনের আর্থিক সহযোগীতায় শিক্ষার্থীদের জন্য মিড ডে মিলের (দুপুরের খাবার) উদ্বোধন করা হয়েছে।

উপজেলার দোনারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা উন্নয়ন) মো. দাউদ মিয়া ও বিশেষ অতিথি হিসেবে গৌরনদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শাহ্ আলম খান, গৌরনদী পৌর মেয়র মো. হারিছুর রহমান হারিছ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহ্আলম উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন, গৌরনদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন, সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম জহির, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম রহমান চৌধুরী, খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মতলেব মাতুব্বর, ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রাণকৃষ্ণ সরকার প্রমূখ। সভা শেষে সরকারের ঘোষিত স্থানীয় লোকজনের আর্থিক সহযোগীতায় মিড ডে মিলের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা। জানা গেছে, স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার একটি পাইলট প্রকল্প চালু করে। তারই ধারা বাহিকতায় প্রাথমিক ভাবে দেশের ৬৪ টি জেলার দারিদ্র কবলিত এলাকার ৬৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে প্রাথমিক ভাবে বাছাই করা হয়। বরিশাল জেলার মধ্যে সবচেয়ে দারিদ্র কবলিত প্রাইমারী স্কুল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়  গৌরনদীর খান্জাপুর ইউনিয়নের দোনারকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে। স্থানীয় লোকজনের আর্থিক সহযোগিতায় গতকাল শনিবার থেকে দোনারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মিড ডে মিল (দুপুরের খাবার) চালু করা  হয়েছে। 

১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই বিদ্যালয়ে  শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ২ জন। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দুরবর্তি ওই স্কুলে কোন শিক্ষক চাকুরি করতে চাননা। এলাকার লোকজন অধিকাংশই গরীব। তাদের  অনেকেই জেলে ও কৃষক। এলাকায় ধনাঢ্য লোকের সংখ্যা খুবই কম হওয়ায় শেষ পর্যন্ত শিশুদের জন্য চালু হওয়া মিড ডে মিল চালু থাকবে কিনা এ নিয়ে অনেকেই শংকা প্রকাশ করেছেন।