যৌতুক লোভী স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিপাকে গৃহবধু সবিতা রানী

মোঃ জামাল উদ্দিন, গৌরনদী ॥ যৌতুক লোভী স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিপাকে পরেছেন গৌরনদীর গৃহবধু সবিতা রানী দাস (৩০)। ১০ বছরের শিশুপুত্র সব্রত দাসকে নিয়ে বিচারের আশায় তিনি এখন ঘুরে বেড়াচ্ছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য, পুলিশ প্রশাসন ও আদালতের দ্বারে দ্বারে। কিন্তু বিচার না পেয়ে তিনি হতাশায় ভুগছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারী গৌরনদী প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সবিতা অভিযোগ করেন, ২০০০ সালে তার বিয়ে হয়েছিল গৌরনদীর চাঁদশী গ্রামের সুনিল দাশের পুত্র দিনেশ দাসের সাথে। সবিতা আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল গ্রামের মৃত হরিপদ দাশের কন্যা।

সে জানায়, বিয়ের সময় তার পরিবারের পক্ষ থেকে বর দিনেশকে যৌতুক হিসেবে নগদ ৮০ হাজার টাকা, ৪ ভরি সর্নালংকার, রঙিন টিভি, খাট, আলমিরা সহ প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল প্রদান করা হয়। বিয়ের ৩ বছর পর তাদের ঘরে জন্ম নেয় সুব্রত।

২০০৪ সালে চাদঁশী ইউপি নির্বাচনে মেম্বর পদে প্রতিদ্বন্দিতা করে হেরে যায় দিনেশ । নির্বাচনে তার বিপুল অর্থ ব্যয় হয়। এ কারনে আর্থিক দৈনতায় পরে সে শ্বশুর বাড়ী থেকে ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য সবিতাকে চাপ দেয়। সবিতার বাবার বাড়ীর লোকজন টাকা দিতে না পারায় তার ওপর শুরু হয় শারিরিক ও মানষিক নির্যাতন। ওই সময় তাকে মারপিট করে গৃহ থেকে তাড়িয়ে দেয় তার স্বামী দিনেশ ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ সময় বিচারের আশায় তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, বারশালের পুলিশ সুপার, স্থানীয় এমপি থেকে শুরু করে বহু গন্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ও সুবিচার পাননি। নিরুপায় হয়ে শিশু পুত্রকে নিয়ে সবিতা তার বাবার বাড়ীতে আশ্রয় নেন। এর পর সে স্বামী গৃহে বার বার আসার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। বাধ্য হয়ে সবিতা সম্প্রতি তার স্বামী,শ্বশুর,শাশুড়ীর বিরুদ্ধে বরিশাল পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয় তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজন।

সর্বশেষ গত ১৯ জানুয়ারী সবিতা তার পুত্র সুব্রতকে নিয়ে তার স্বামী গৃহে উঠলে তারা পুলিশ দিয়ে তাকে তাড়িয়ে দিয়েছে বলে সবিতা জানান। তিনি আরো জানান, তার স্বামী দিনেশ গোপনে আর ১টি বিয়ে করার পায়তারা চাচ্ছেন। এ খবর শুনে তিনি আরো দিশেহারা হয়ে পরেছেন।