যোনিপথে অতিরিক্ত সাদা তরল পদার্থ নির্গত হওয়াকে নিউকোরিয়া বা শ্বেতস্রাব বলে৷ গ্রাম অঞ্চলে অনেক মহিলা একে খিচ ভাঙা কিংবা ঋতুভাঙা বলে থাকেন৷ মেয়েদের অতি পরিচিত সমস্যাগুলোর মধ্যে এটি একটি অস্বস্তিকর সমস্যা৷
শারীরিক কারণ
* মায়ের ইস্ট্রোজেন (স্ত্রী হরমোন) হরমোনের প্রভাবের ফলে কিছু কিছু মেয়ে শিশুর জন্মের পরপরই তাদের যোনি থেকে সাদা স্রাব নির্গত হতে পারে৷
* হরমোনের প্রভাবে মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালে সাদা স্রাব হতে পারে৷
* ডিম্ব নিঃসরণকালে কিংবা অল্প বয়সে গর্ভধারণ করলে৷
* যৌন উত্তেজনাকালে৷
স্বাস্থ্যজনিত কারণ
* দুর্বল স্বাস্থ্য এবং অপুষ্টিতে ভুগলে৷
* দুশ্চিন্তা এবং উদ্বেগ দেখা দিলে৷
* যৌন অতৃপ্তি থাকলে
* জরায়ুতে ইনফেকশান হলে৷
* যোনিতে প্রদাহ হলে
* জরায়ু নিচে নেমে এলে
* জরায়ুর মুখে ক্ষত সৃষ্টি হলে
* গর্ভনিরোধক বড়ির পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ঘটলে৷
লক্ষণ
* এই স্রাব কখনো সাদা এবং কখনো হলুদ হতে পারে৷
* ক্রামাগত স্রাব হওয়ার ফলে কাপড়ে বিশ্রী দাগ দেখা যায়৷
* স্রাবে চুলকানি কিংবা দুর্গন্ধ থাকে৷
* ঋতুস্রাবের আগে এবং গর্ভাবস্থায় সমস্যার সৃষ্টি করে৷
* সংক্রমণের কারণে স্রাব হলে যোনিতে চুলকানি থাকে না৷
* যোনিতে, তলপেটে এবং পিঠে ব্যথা হতে পারে৷
পরামর্শ
* লক্ষণ দেখা দিলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে৷
* রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে যে এটি কোনও মারাত্মক সমস্যা নয় কিংবা এ থেকে জটিল কোনও অসুখ হবার সম্ভাবনা নেই৷
* লক্ষণগুলো যদি প্রকটভাবে দেখা যায়, তবে গর্ভনিরোধক বড়ি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে৷
প্রতিরোধ
* রোগীর যৌনাঙ্গ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে৷
* প্রতিদিন গোসল করতে হবে এবং কাপড় পরিষ্কার করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে তারপর ব্যবহার করতে হবে৷
* নিয়মিত ব্যায়াম ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে৷
* দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করতে হবে৷
* দুর্বল স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে হবে৷
* সহবাসের সময় স্বামীকে অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে৷
* মাসিকের সময় স্যানিটারী প্যাড বা পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করতে হবে৷
* অন্তর্বাস পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে৷