পারস্পরিক স্বার্থ সংরক্ষণে শ্রমিক-মালিকের সম্প্রীতি অপরিহার্য -আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এমপি

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ শ্রমিকরা বিভক্ত হয় না, ভিক্ত হয় শ্রমিক নেতারা। শ্রমিক স্বার্থ সংরক্ষণে মেহনতি মানুষের ঐক্যবদ্ধের বিকল্প নেই। পারস্পরিক স্বার্থ সংরক্ষণে শ্রমিক-মালিকের সম্প্রীতি অপরিহার্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সংকীর্ণ দলীয় বিভাজনের উর্দ্ধে এসে শ্রমিক সংগঠনগুলোকে শ্রমিক স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করে যেতে হবে। বিভাজনের রাজনীতি যেমন দেশকে এগিয়ে নিতে পারে না, তেমনি শ্রমিক বিভাজনও উন্নয়ন-উৎপাদনে গতি সঞ্চার করতে পারে না। মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক জোরদার করার মাধ্যমে চলমান শতাব্দির মুক্তবাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আইডিইবি’র মে দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এমপি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

৩ মে আইডিইবি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে “শ্রমজীবী-কর্মজীবী ঐক্যবদ্ধতার গুরুত্ব- প্রেক্ষিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অতিথি আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক শফিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি শিরীন আখতার, বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোখলেছুর রহমান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের পলিট ব্যুরো সদস্য আবু হামেদ শাহাবুদ্দিন, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সভাপতি শাহ মুহম্মদ আবু জাফর প্রমুখ।

আইডিইবি’র সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক  মোঃ শামসুর রহমান।

মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, দেশের শ্রমিকরা বিভক্ত নয়। বিভক্ত শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। বিষয়টি শ্রমিক নেতাদের ভাবতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের যতটুকু প্রাপ্য সে অধিকার সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এলক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে এবং শ্রম আইনকে যুগোপযোগী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, মালিকপক্ষের মধ্যে দলীয় বিভাজনের ছাপ না পড়লে কেন শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হচ্ছে, এটি শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে ভাবতে হবে। তারা বলেন, শোষণের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিতে মালিকপক্ষ সরকারের উপর বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি করে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে জনগণের সরকার মেহনতি মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি। নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিকদের কোন পক্ষ অবলম্বন যুক্তিযুক্ত নয়। এটি তাদের শোষণের ধারাকে দীর্ঘায়িত করে। তারা পুঁজিবাদের আগ্রাসন থেকে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ দেশে বিদেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানে উদ্যোগী হবার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। শ্রমিক নেতৃবৃন্দ মালিক-শ্রমিক বিভাজনের ধারা পরিহার এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার সুপ্রতিষ্ঠায় আরও উদার ও আন্তরিক হবার জন্য মালিক পক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।
//প্রেস বিজ্ঞপ্তি//