হোসনাবাদ গ্রামে প্রাইমারী শিক্ষিকার ওপর বর্বরেচিত হামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বিরোধীয় সম্পত্তিতে দোকান ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামে প্রতিপক্ষের লোকজনে বর্বরেচিত হামলা চালিয়ে প্রাইমারী শিক্ষিকা শামিমা আক্তার (৩৪) ও তার শাশুড়ি রহিমা বেগমকে (৫৫) গুরুতরভাবে আহত করেছে। হামলাকারীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে শিক্ষিকার ডান পা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া তার শাশুড়িকে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করা হয়। তাদেরকে প্রথমে গৌরনদী পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য উভয়কে মুর্মুর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা উভয়েই হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

শামিমা আক্তার দক্ষিণ কুড়ির চর রেজিষ্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আহত স্কুল শিক্ষিকার স্বামী ও সাহেবের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেন অভিযোগ করেন, গত ১৭ মে পূর্ব হোসনাবাদ নলগোরা বাজারে তার লিজকৃত সম্পত্তিতে তিনি একটি দোকানঘর নির্মাণ করেন। এ নিয়ে প্রতিবেশী প্রভাবশালী আনোয়ার বেপারী, শামীম বেপারী, শওকত বেপারীসহ অন্যান্যদের সাথে তার বিরোধ দেখা দেয়। এরজের ধরে ওইদিন ভোর রাতে প্রতিপক্ষের লোকজনে শিক্ষক বাবুলের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী শামীমা ও তার মাতা রহিমা বেগমের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের গুরুতরভাবে আহত করে। প্রতিপক্ষের লোকজন তার সদ্য তোলা দোকান ঘরটিও ভেঙ্গে নিয়ে যায়। ঘটনার পর শিক্ষক বাবুল বাদি হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে গৌরনদী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলা থেকে রেহাই পেতে প্রতিপক্ষের প্রভাবশালীরা উল্টো মিথ্যে মামলা দায়ের করে শিক্ষক পরিবারকে হয়রানী শুরু করেছেন বলেও শিক্ষক বাবুল উল্লেখ করেন।