নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশাল নগরীর দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ছাত্রদল ক্যাডার ফিরোজ খান কালুকে চট্টগ্রামে গ্রেফতারের গুজবের তিনদিন পরেও তার কোন সন্ধ্যান মেলেনি।
সূত্রমতে, গত ২৪ মার্চ বরিশাল কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রাফসান আহমেদ জিতুকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে খুন করে কালু ও তার ভাই মিরাজ। এ ঘটনার পরপরই কালুকে একাধিকবার গ্রেফতার ও ক্রসফায়ারের গুজব ওঠে পুরো নগরীজুরে। সর্বশেষ গত জুন মাসে কালুর মা বরিশাল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করেন কালু ও তার ভাই মিরাজকে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে গেছে। এরপর থেকে তার দু’ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মিরাজ নিখোঁজ হলেও কালু রহস্যজনক থেকে যায়। সর্বশেষ গত ২৫ আগস্ট কালুর মা ও স্ত্রী আমেনা বেগম জানান, র্যাব পরিচয়ে ২৪ আগস্ট রাতে কালুকে চট্টগ্রাম থেকে আটক করা হয়েছে। মুহুর্তের মধ্যে খবরটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতারা স্বীকার করেছেন, কালু দীর্ঘদিন থেকে চট্টগ্রামের ঈদগাহ এলাকায় তার স্ত্রী আমেনা বেগমকে নিয়ে বসবাস করছিলো।
কালুর স্ত্রী আমেনা বেগম জানান, ২৪ আগস্ট রাত আটটার দিকে র্যাব পরিচয়ে তার স্বামী ফিরোজ খান কালুকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে র্যাব-৭’র কমান্ডিং অফিসার কমান্ডার লে. কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান সাংবাদিকদের জানান, ফিরোজ খান কালু নামের কোনো বিএনপি নেতাকে তারা আটক করেননি। অপরদিকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করেন, ইলিয়াস আলীর মতোই কালুকে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বরিশাল র্যাব-৮’র সাথে যোগাযোগ করা হলে মেজর রাশেদুল হক খান জানান, ইতোপূর্বেও কালু ও তার ভাই মিরাজকে একাধিকবার গ্রেফতার, ক্রসফায়ার ও নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। এটা তাদের নিছক গুজব। কালুর গ্রেফতারের বিষয়ে র্যাব-৮ কোন কিছুই জানেন না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, বরিশাল নগরীর শীর্ষ সন্ত্রাসী ফিরোজ খান কালুর বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতা জিতু ছাড়াও একাধিক হত্যা ও বিভিন্ন অপরাধের মামলা রয়েছে।