নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার – খুলনা থানার এসআই খলিলের জামিন বাতিল

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বরিশালের গৌরনদী পৌর এলাকার দিয়াশুর মহল্লার বাসিন্দা ও খুলনা কোতোয়ালী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস.আই) খলিলুর রহমান। আদালত ওই মামলায় গ্রেফতারকৃত ৫ জনসহ ৯ জন আসামিকে জামিন দিলেও এস.আই খলিলুর রহমানের জামিন না মঞ্জুর করেছেন। বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তছলিম আরিফ গত রবিবার (২৬ আগস্ট) উল্লেখিত রায় ঘোষনা করেন।

জানা গেছে, জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা অসুস্থ্য থাকায় ওইদিনই তাদেরকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও গৌরনদীর একমাত্র হাসপাতাল ভাংচুরের ঘটনায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। একটি সুত্র জানিয়েছে, হামলাকারীরা সরকার দলীয় প্রভাবশালী এক নেতার সহযোগী হওয়ায় সরকারি হাসপাতাল ভাংচুরের ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। গৌরনদী হাসপাতালের দায়িত্বে নিয়োজিত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ একেএম সামসুদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভাংচুরের বিষয়টি বরিশাল সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, পৌর এলাকার দিয়াশুর মহল্লার দু’স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করার জেরধরে গত ২৩ আগষ্ট রাতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য রব আকন ও প্রতিবেশী জহুর আলী খান গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় এস.আই খলিল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেননা। তার আহত স্বজনেরা গৌরনদী হাসপাতালে চিকিৎস্যা নিতে গেলে যুবলীগ নেতা টুকু মল্লিক ও তার সহযোগীরা গৌরনদী হাসপাতালে দফায় দফায় তান্ডব চালায়। থানা পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করে তড়িঘড়ি করে খুলনা কোতোয়ালী থানার এস.আই মোঃ খলিলুর রহমান আকন, কনষ্টবল আঃ রশিদ আকন, মোফাজ্জেল আকন, তোতা আকন, টিপু আকন ও সাবেক সেনা সদস্য আঃ রব আকনকে আহত অবস্থায় গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করে। অপরদিকে হামলাকারীদের হুমকির মুখে গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সদস্যরা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।