কীর্তনখোলার ভাঙ্গন অব্যাহত – ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় জনতা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীব্র ভাঙ্গনের পর বিকল্পস্থানে ফেরির প্লাটুন স্থাপন করে রবিবার মধ্যরাত থেকে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়েছিল। মালবাহী ট্রাক ওঠানামা করায় কীর্তনখোলা নদীর চরকাউয়া এলাকায় ফের ভাঙ্গন দেখা দেয়। পরে স্থানীয় জনতা সোমবার সকাল দশটার দিকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।

বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আটকা পরেছে ভোলা-লক্ষ্মীপুরগামী অসংখ্য পন্যবাহী ট্রাক। এতে চরম দুর্ভোগে পরেছে ট্রাকের চালক ও শ্রমিকেরা। ভোলাগামী পন্যবাহী ট্রাকের ড্রাইভার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ট্রাকে কাঁচা মাল রয়েছে। সঠিক সময়ে পৌঁছতে না পাড়লে সব মালামাল নষ্ট হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারুন অর-রশিদ বলেন, বিষয়টি বর্তমানে খুব জটিল আকার ধারন করেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনে ফেরির পল্টুন অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফেরি চলাচল শুরু করা হবে।

অপরদিকে রবিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক এস.এম আরিফ-উর রহমান ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত ভাঙ্গনরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। একইদিন ভাঙ্গন কবলিত কীর্তনখোলা নদীর চরকাউয়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস-এমপি, এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার-এমপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা। তারা ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন।