নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ ৩৪৫ টি খুনের রায় যদি হয় যাবজ্জীবন পুরস্কার। তাহলে একটি হত্যাকান্ডের রায়েতো আর ফাঁসি হতে পারেনা। তাই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ থেকে ফাঁসির রায় প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশপ্রেমী প্রবাসীরা।
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কসাই কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজা ঘোষনার রায়ের পর থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এ প্রতিনিধির সাথে তীব্র প্রতিক্রীয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে কুয়েত শাখা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বরিশালের গৌরনদী পৌর এলাকার দিয়াশুর মহল্লার বাসিন্দা প্রবাসী হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এ রায় অস্মান করেছে। ইটালীর রোম সিটির ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও গৌরনদীর টরকী এলাকার সন্তান কামরুল ইসলাম দিলীপ বলেন, কসাই কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ৩৪৫ টি খুনের অভিযোগ পাওয়া সত্বেও তার রায় যদি হয় যাবজ্জীবন পুরস্কার। তাহলে বাংলাদেশে একটি হত্যাকান্ডের রায়েতো আর ফাঁসি হতে পারেনা। তাই তিনি বাংলাদেশ থেকে ফাঁসির রায় প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। গ্রেটার বরিশাল এসোসিয়েশন ইউ.কে-এর যুগ্ন সম্পাদক ও গৌরনদীর টিকাসার এলাকার সন্তান মোঃ সাইফুল ইসলাম রুমী বলেন, রায়ের আগে দেশবাসীর পাশাপাশি প্রবাসীদেরও প্রত্যাশা ছিল, ৩৪৫টি খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় হবে। কিন্তু তা হয়নি। ঘৃণিত কসাই কাদের মোল্লার রায়ে তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। সুইজারল্যান্ড প্রবাসী ও গৌরনদীর কটকস্থল গ্রামের বাসিন্দা আকন আজাদ বলেন, টিভির পর্দায় দেখলাম-খুনী কসাই কাদের হাঁসছে। দু’আঙ্গুল তুলে বিজয় প্রকাশ করছে। বিজয় তো তার হয়েছেই। রাজাকারদের বিজয় আর মুক্তিযোদ্ধাদের পরাজয়। এ পরাজয় বিএনপির কাছ থেকে প্রত্যাশা করা যায়; কিন্তু আওয়ামীলীগের কাছ থেকে নয়। ইটালী প্রবাসী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার নগরবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমান স্বপন ও একই গ্রামের রিপন হাওলাদার প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান নামের একটা ভয়ঙ্কর দেশকে ভয় পায়নি। আমরা আশা করবো আপনি জামায়াতের মতো ঘৃণিত দলকে ভয় না পেয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন। কসাই কাদের মোল্লার রায়ে বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে বলেও তারা উল্লেখ করেন।