গৌরনদীর শারমিন ক্লিনিক ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রর্দশন | ডাক্তার ও ম্যানেজারকে মারধর করার অভিযোগ

গৌরনদী মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের ইনচার্জ ডাঃ আব্দুস সামাদ জানান, উপজেলার টিকাসার  গ্রামের রিপন সরদারের স্ত্রী মুন্নি বেগমের (২০) প্রসব বেদনা শুরু হলে তার আত্মীয়-স্বজনরা শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে তাকে (মুন্নিকে) মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে ভর্তি করেন। এক পর্যায়ে প্রসূতি মুন্নিকে সিজার অপারেশন করার সিদ্ধান্ত  গ্রহন করা হয়। ওইদিন সকাল পৌনে এগারোটায় মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার এবং এ্যানেসথেসিয়া (অজ্ঞানকরন) ডাক্তার মাহাবুবুর রহমান সেলিমকে মোবাইল ফোনে কেন্দ্রে আসতে বলা হয়।
মুন্নির দেবর সুজন সরদার জানান, দুপুর থেকে অজ্ঞানকরন ডাক্তার সেলিম মোবাইল ফোন বন্ধ করে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে না এসে গৌরনদীর শারমিন ক্লিনিকে প্রাইভেট প্রাকটিজ করে আসছিল। এরমধ্যে তার ভাবি মুন্নি বেগম মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায়ও অজ্ঞানকরন ডাক্তার সেলিম না আসায় সুজনের আত্মীয়-স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ খবর জানাজানি হলে রোগীর অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা গৌরনদী মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে ছুটে আসেন। রোগীর অবস্থার চরম অবনতি হলে রোগীর আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসি বিক্ষুব্ধ হয়ে শারমিন ক্লিনিক ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এসময় বিক্ষুব্ধরা ডাক্তারের অপসারনের দাবি করেন। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা ডাঃ মাহাবুবুর রহমান সেলিম ও শারমিন ক্লিনিকের ম্যানেজার সমীর সরকারকে মারধর করে। খবর পেয়ে গৌরনদী থানার এস.আই আসাদ হোসেন একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।