চাকুরির প্রলোভনে ঢাকায় ১৩দিন আটকে রেখে নববধূকে ধর্ষন

১৩ দিন আটকে রেখে পর্যায়ক্রমে ধর্ষন করেছে শিমন সরকার নামে এ লম্পট। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদি হয়ে মঙ্গলবার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছে।

এজাহারে প্রকাশ, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের খ্রীষ্টসম্প্রদায়ের দিনমজুর মাইকেল রায়ের কন্যা পাখী রায়ের (১৯) সাথে সম্প্রতি পাশ্ববর্তী উজিরপুর উপজেলার ধামশর গ্রামের খোকন সরকারের পুত্র পলাশ সরকারের সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। পাখীর হাতের বিয়ের মেহেদীর রং মুছতে না মুছতেই যৌতুকলোভী পলাশ সরকার ব্যবসার কথা বলে পাখীর দিনমজুর পিতার কাছে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় পাখীর স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজনে তার (পাখীর) ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে তার পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়। এসময় অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী নদী রায় সরকারের পুত্র শিমন সরকার চাকুরি দেয়ার কথা বলে গত ২১ জুলাই পাখীকে ঢাকায় নিয়ে যায়। ঢাকার মিরপুরের একটি বাসায় নিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে শিমন নববধুকে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে নববধু রাজি না হওয়ায় শিমন তাকে নানাধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষন করে। পরবর্তীতে ওই বাসার একটি কক্ষে আটকিয়ে রেখে (তালাবদ্ধ করে) শিমন সরকার ১৩দিন নববধূকে ধর্ষণ করে।

গত ৩ আগস্ট শিমন ধর্ষিতা নববধূকে রুমে তালাবদ্ধ করে বাহিরে যায়। ওইদিন বিকেল পাঁচটার দিকে ওই বাসার পাশের শাহিনুর বেগম নামের এক মহিলা রুমের তালা ভেঙ্গে পাখীকে উদ্ধার করে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। বাড়িতে ফিরে ধর্ষিতা বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানায়। অসহায় ধর্ষিতার পিতা এ ব্যাপারে ধর্ষক শিমন সরকারের অভিভাবকদের কাছে বিচার দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রভাবশালী শিমন সরকার এলাকায় ফিরে তার ভাড়াটিয়া লোকজনদের দিয়ে মামলা না করার জন্য ধর্ষিতা ও তার পরিবারের ওপর চাপপ্রয়োগসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। অব্যাহত হুমকির মুখে পালিয়ে গিয়ে ধর্ষিতা বাদি হয়ে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসিকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।

গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, এখনো আমার হাতে আদালতের নির্দেশ পৌঁছেনি। আদালতের নির্দেশ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।