গৌরনদীতে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে পিতা কর্তৃক স্কুল পড়ুয়া পুত্রকে হত্যার চেষ্টা

চাপা দিয়ে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যার চেষ্ঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুমুর্ষ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার স্কুল ছাত্র হাসান রাব্বিকে উদ্ধার করে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলার ধানডোবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র হাসান রাব্বির (১৪) মা শাহনাজ বেগম অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন পূর্বে একই উপজেলার বড়কসবা গ্রামের আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সাথে তার সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। এরই মধ্যে তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহন করে। গত ৪ বছর পূর্বে এক লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে আজিজ হাওলাদার তাকে (শাহনাজ বেগমকে) শারিরিক নির্যাতন করে বাবার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়।

সেই থেকে অদ্যবধি শাহনাজ তার পুত্র হাসান রাব্বিকে নিয়ে ধুরিয়াইল গ্রামের বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। তিনি আরো অভিযোগ করেন, তাকে তাড়িয়ে দিয়ে আজিজ হাওলাদার একে একে আরো দুটি বিয়ে করেন। গত মঙ্গলবার পুত্র হাসান রাব্বিকে ঈদের কেনাকাটা করে দেয়ার কথা বলে আজিজ মোবাইল ফোনে রাব্বিকে তার বড়কসবার বাড়িতে আসতে বলে। সেমতে রাব্বি ওইদিন বিকেলে বাবার কাছে আসে। ওইদিন রাতের খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে খাইয়ে রাব্বিকে অচেতন করে গভীর রাতে পরিকল্পিত ভাবে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্ঠা চালায় পাষন্ড পিতা আজিজ হাওলাদার। এক পর্যায়ে রাব্বির গোংঙ্গানির শব্দে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে রাব্বিকে উদ্ধার করে।

বাড়ির লোকজনে স্থানীয় ভাবে রাব্বির চিকিৎসা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার লোকমুখে খবর শুনে রাব্বির মা শাহনাজ বেগম একই বাড়ির আব্দুল জব্বার হাওলাদারের ঘর থেকে মুমুর্ষ অবস্থায় পুত্র হাসান রাব্বিকে উদ্ধার করে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ অস্বীকার করে আজিজ হাওলাদার বলেন, আমার বর্তমান স্ত্রী শিখা বেগমের সাথে হাসান রাব্বি বেয়াদবি করায় আমি তাকে কয়েকটি চর থাপ্পর মেরেছি।