আগৈলঝাড়ার ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত

বিদ্যালয়গুলোর ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ায় ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা আতংকে রয়েছেন। এসব বিদ্যালয়ের ভবন ধ্বসে যেকোন সময় বড়ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়গুলো পূণঃনির্মাণের জন্য সরকারের সংশিষ্ট দপ্তরের কাছে দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক, শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার ৬৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৫টি রেজিষ্টার্ড, ৫টি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৯৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওই বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২৫টি সরকারি, ১৩টি রেজিষ্টার্ড ও ২টি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে ২০টি বিদ্যালয়কে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

নাঘিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিল বৈদ্য বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলো ১৫ থেকে ২০ বছর পূর্বে উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ থেকে নির্মাণ করা হয়েছিল। এ সব বিদ্যালয়ের পস্টার, দেয়াল দরজা, জানালা ধ্বসে ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পরেছে। প্রচন্ড ভীতির মধ্যে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পাঠদান চালাচ্ছি। ভালুকশী গ্রামের কাজী মমিনুর রহমান, বাশাইল গ্রামের সাইফুল মোলাসহ একাধিক ব্যাক্তি বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মাণকাজের সময় নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করায় কাজের গুনগতমান খারাপ হওয়ায় ওই বিদ্যালয়গুলো অতি তাড়াতাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে।

উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নাঘিরপাড়, আস্কর, ফেনাবাড়ি, আমবৌলা, দক্ষিণ বাগধা, জয়রামপট্টি, বাগধা, পশ্চিম মোহনকাঠী, রতপুর, সেরাল, আগৈলঝাড়া মডেল, পূর্ব গোয়াইল, পূর্ব সুজনকাঠী, ভালুকশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ২৫টি, রেজিস্টার্ড বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পূর্ব মোহনকাঠী, উত্তর বারপাইকা, ঐচারমাঠ, কালুপাড়া, বাহাদুরপুরসহ ১৩টি ও তালতারমাঠ কমিউনিটি বিদ্যালয়সহ ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। উপজেলা প্রকৌশল ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিদ্যালয়ের ভবনগুলো সংস্কারের জন্য লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ বদিউজ্জামান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এসব বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে লিখিতভাবে আবেদন জানানো হয়েছে।