আগৈলঝাড়ায় হাইসাওয়া’র কর্মীরা ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত

এব্যাপারে হাইসাওয়া ও ইউনিয়ন পরিষদ একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ডেনমার্ক সরকারের আর্থিক সহায়তায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে বেসরকারী সংস্থা হাইসাওয়া স্যানিটেশনের জন্য ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে জনবল নিয়োগ করেন তারা। এজন্য তারা প্রতি ওয়ার্ডে ১ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলাকে কমিউনিটি ফ্যাসিলেটর পদে নিয়োগ দেয়। গত মে মাসে কর্মীদের নিয়োগ সম্পন্ন করার পর থেকে ৪টি ইউনিয়নে ৭২ জন ফ্যাসিলেটর কাজ করে আসলেও এপর্যন্ত তাদের এক টাকাও বেতন-ভাতা দেয়নি হাইসাওয়া কর্তৃপক্ষ। ফলে ওই ৭২ জনের পরিবার এবার ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে কর্মীরা অভিযোগ করেছেন।

তবে কর্তৃপক্ষ ৫ মাস কর্মীদের দিয়ে কাজ করানোর পরে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অসচ্ছ বলে ধূঁয়া তুলে ইউনিয়ন পরিষদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদও তাদের ঘাড়ে দোষ না নিয়ে হাইসাওয়া’কে দায়ী করেছে। এব্যাপারে হাইসাওয়া’র উপজেলা সমন্বয়কারী মো. সাহারুল আলমের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি কর্মীদের বেতন-ভাতা না দেয়ার সত্যতা স্বীকার করে বিষয়টি অমানবিক বলে দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের এমডি কর্মীদের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে অসচ্ছতার অভিযোগে তাদের বেতন-ভাতা দিচ্ছেন না।

তাছাড়া কর্মীরা কি কি কাজ করেছে তা তাকে লিখিতভাবে জানাতে বলেছেন। এব্যাপারে রাজিহার ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল সিকদার বলেন, হাইসাওয়া কর্মীদের নিয়োগের ৫ মাস পরে বেতন-ভাতা না দিয়ে নিয়োগে অসচ্ছতার মিথ্যা অভিযোগ তুলে হাইসাওয়া ওই ৭২টি পরিবারকে ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত করছে।