আগৈলঝাড়ায় যুবদলের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা

কেন্দ্র করে উপজেলা যুবদলের নেতা-কর্মীরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পরেছেন। উভয় কমিটিতে সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী, মাদক ব্যবসায়ী ও অসাংগঠনিক নেতা-কর্মীকে স্থান দেয়া হয়েছে বলে এক কমিটি অপর কমিটির বিরুদ্ধে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। এনিয়ে যেকোন সময় দু’আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলা উত্তর যুবদলের সভাপতি কবির উদ্দিন আফসারী ও সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান মিন্টুর স্বাক্ষরিত কমিটিতে আরিফ হোসেন ফিরোজকে আহ্বায়ক করে গত ১৩ জুলাই ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আগৈলঝাড়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। এ কমিটির বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে জেলা উত্তর যুবদলের সভাপতি কবির উদ্দিন আফসারী ওই কমিটিতে তার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

পরবর্তীতে বরিশাল জেলা উত্তর যুবদল সভাপতি কবির উদ্দিন আফসারী গত ৯ অক্টোবর আলী হোসেন ভূঁইয়া স্বপনকে আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট অপর একটি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন করেন। তবে ওই কমিটিতে জেলা উত্তর সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান মিন্টুর স্বাক্ষর নেই।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে উভয় কমিটি থেকে বাদ পরা দলের একাধিক ত্যাগী নেতারা জানান, উভয় আহ্বায়ক কমিটিতে মাদক ব্যবসায়ী ও বহিস্কৃত ছাত্রদল নেতা সালমান হাসান রিপন এবং বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ের বহুল আলোচিত সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী ও প্রশাসনের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মেনহাজ ফকিরকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। এতে দলের সাধারন নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আগৈলঝাড়া উপজেলা যুবদলের পাল্টাপাল্টি আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে ক্রমেই রাজনৈতিক অঙ্গণ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এনিয়ে যেকোন সময় দু’গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশংকা করছেন দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা।