চেয়ারম্যান পুত্রের কান্ডে অতিষ্ট এলাকাবাসী

বিভিন্ন অপকর্ম করলেও চেয়ারম্যান তার কোন সমাধান করছেন না। স্থানীয় একাধিকসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা বেগমের পুত্র রতন সন্যামত ও তার দলবল নিয়ে গত ২৩ অক্টোবর রাতে বারপাইকা গ্রামের প্রফুল্ল পান্ডের বাড়িতে লক্ষ্মীপূজা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে অরুণ পান্ডের সাথে বিরোধ বাঁধে। এ সময় অরুণ পান্ডে, ভোমর কীর্তনীয়া, কমলেশ সরকারসহ ৬জনকে পিটিয়ে আহত করে রতন ও তার দলবল। গুরুতর আহত অরুণ পান্ডেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় এলাকাবাসী রতনের ২ সহযোগীকে আটক করে। পুলিশ গিয়ে আটককৃতদের উদ্ধার করে থানায় আনতে চাইলে আওয়ামীলীগ নেতা অরুণকৃষ্ণ হালদার স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথা বলে তাদের মন্মথ সরকারের জিম্মায় দেয়। জিম্মায় নেবার অপরাধে মন্মথকে বরিয়ালী ওয়াপদা রাস্তায় বসে হামলা চালিয়ে আহত করে রতন। একইদিন বিকেলে সাহেবেরহাটে আখ বিক্রেতা স্বপন ঢালীকে দাম বেশি চাওয়ার অজুহাতে পিটিয়ে আহত করে। এরপূর্বে পৃথক ঘটনায় মেহেদী, অপূ, শামীম ও রোকনকে পিটিয়ে আহত করে। এসকল ঘটনা এলাকাবাসী রতপুর ইউপি চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা বেগমকে জানালেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এব্যাপারে চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা বেগম জানান, বারপাইকার ঘটনার সাথে আমার ছেলে জড়িত না। আটককৃতরা রতনের নাম বললে এ ঘটনার মিমাংসা হবে বলে তারা আমার ছেলের নাম বলেছে। সাহেবের হাটের ঘটনায় আমার ছেলে স্বপনের কাছে ভুল স্বীকার করেছে, স্বপন রতনকে মাফ করে দিয়েছে।