বরিশালের পুলিশ কমিশনারের অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ॥ স্মারকলিপি পেশ

অপসারনের দাবিতে গতকাল সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বরিশাল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপিসহ বিভিন্ন দপ্তরের স্বারকলিপি পেশ করা হয়েছে।


বিকেল ৪টায় নগরীর মাইনুল হাসান সড়কের প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসএম ইকবাল, সাধারন সম্পাদক লিটন বাশার ও সিনিয়ির সাংবাদিক মানবেন্দ্র বটবল। এরপর মিছিল শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। স্মারকলিপি পেশকালে জেলা প্রশাসক এস.এম আরিফ-উর-রহমান বলেছেন সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাটি সত্যিই দুঃখজনক। তিনি বলেন বিষয়টির দ্রুত নিস্পত্তি হওয়া দরকার। বিক্ষোভ মিছিলে বরিশালে আঞ্চলিক ও জাতীয় পত্রিকার সংবাদ কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারন করেন। তারা বিতর্কিত পুলিশ কমিশনার ডাঃ আবদুর রহিমের শাস্তি মুলক অপসারনের দাবি করেন।


বিক্ষোভে সমাবেশে অংশগ্রহন করেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী নাসির উদ্দীন বাবুল, সাবেক সাধারন সম্পাদক নুরে আলম ফরিদ, সাংবাদিক মানবেন্দ্র বটবল, জিএম বাবর আলী, মুরাদ আহম্মেদ, মীর মনিরুজ্জামান, আকতার ফারুক শাহিন, কাজী আবুল কালাম আজাদ, পুলক চ্যাটার্জি, নজরুল ইসলাম চুন্নু, বীরেন্দ্র নাথ সমাদ্দার, হুমায়ুন কবির, কাজী মিরাজ, জিয়া শাহীন, কাজী আল মামুন, কাজী আবদুল্ল­াহ আল রাসেল, এম মিরাজ হোসাইন, সুমন চৌধুরী, জাকির হোসেন, আযাদ আলাউদ্দীন, ফেরদৌস সোহাগ,আহমেদ জালাল, শুভব্রত দত্ত।


এরআগে রবিবার রাতে বরিশাল প্রেসক্লাবে ডাঃ আবদুর রহিমের শাস্তি মূলক অপসরনের দাবিতে ৫ দিনের আল্টিমেটাম ঘোষনা করেছেন সাংবাদিকরা। উল্লেখ্য, হরতালের সমর্থনে বের করা মিছিলে হামলার প্রতিবাদে বিএনপি নেতা ও সাবেক মেয়র আহসান হাবীব কামাল গ্র“প প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। রবিবার বিকেল ৪টায় এ সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুপুর ২টা থেকে প্রেসক্লাব অবরদ্ধ করে রাখে পুলিশ সদস্যরা। বিকেল ৪টায় আহসান হাবিব কামাল, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল খান ইসলাম রাজন, মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক এবায়েদুল হক চাঁন একটি গড়িতে করে প্রেসক্লাবের সামনে আসা মাত্র পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। ওই সময়ে প্রেসক্লাব সম্পাদক লিটন বাসার, সাবেক সভাপতি নুরুল আলম ফরিদ, কাজী মিরাজসহ একাধিক সাংবাদিক প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদ করায় কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীরের নির্দেশে পুলিশ সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জ করে। লাঠিচার্জে আহত হন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক লিটন বাসার, এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার হুমায়ুন কবির, সাংবাদিক জিয়া শাহীন, শামীম আহম্মেদসহ ২০ জন সংবাদ কর্মী। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দৈনিক সত্য সংবাদের সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক মীর মনিরুজ্জামান, যুগান্তরের বরিশাল ব্যুারো প্রধান আকতার ফারুক শাহিনসহ কর্মরত অর্ধশতাধিক সাংবাদিক। প্রতিবাদে তাৎক্ষনিকভাবে রাস্তায় শুয়ে পড়ে সাংবাদিকরা। এর পর বের হয় বিক্ষোভ মিছিল।