দপদপিয়া সেতুর আড়াই কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ

পুরো নগরীতে এখন তোলপাড় চলছে। বিসিসি মেয়রের নাম ভাঙ্গিয়ে সরকার দলীয় স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীরা বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের আহবান করা ওই ইজারা টেন্ডারের কাজ ভাগিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারন ঠিকাদাররা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেন্ডার ড্রপিংয়ে অংশগ্রহন করতে না পারা একাধিক ঠিকাদাররা জানান, বরিশাল দপদপিয়া (আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু) সেতুর ইজারার টেন্ডার আহবান করে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগ। টেন্ডার কাজের ৯টি সিডিউল বিক্রি হয়। বুধবার টেন্ডার ড্রপিংয়ের দিন সকাল থেকেই নগরীর আমতলার মোড় নামকস্থানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যালয়ের সম্মুখে সরকার দলীয় স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী টেন্ডারবাজরা জড়ো হয়। পরবর্তীতে সাধারন ঠিকাদারদের সিডিউল জমা দিতে বাঁধা প্রদান করে স্থান ত্যাগ করার জন্য হুমকি প্রদান করেন, বিসিসি মেয়র এডভোকেট শওকত হোসেন হিরনের ভাই মামুন, প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা মেজবাহ উদ্দিন দিপু ও তাদের সহযোগীরা। সারাদিনে সর্বমোট ৪টি সিডিউল ফরম জমা পড়লেও বিকেলে ড্রপিংয়ের সময় টেন্ডারবাজরা অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে ২টি সিডিউল জোরপূর্বক প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য করেন। সিডিউল দুটি হচ্ছে মের্সাস এম. হোসেন এন্টারপ্রাইজ ও এন.এস খান কনস্ট্রাকশন। শেষে গুছ প্রক্রিয়ায় এস.পি.এল কনস্ট্রাকশনকে মোটা অংকের বিনিময়ে কাজ পাইয়ে দেয় প্রভাবশালী টেন্ডারবাজরা।

অপরদিকে টেন্ডার ড্রপিংয়ের সময় টেন্ডারবাজ মামুন ও দিপু বিসিসি মেয়র শওকত হোসেন হিরনের নাম ভাঙ্গিয়ে এস.পি.এল কনস্ট্রাকশনকে কাজটি পাইয়ে দেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এ ব্যাপারে বিসিসি মেয়র হিরনের ভাই মামুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কাজটি যথাযথ নিয়মেই এস.পি.এল কনস্ট্রাসন পেয়েছে। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.কে.এম শামসুদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।