সভা ঝালকাঠি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: নওশের আলী, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার প্রতিনিধি ডা: স্বপন কুমার। এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভায় সদর উপজেলার ১ থেকে ৫বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের কৃমি নাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।
আলোচকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি আন্তব্যক্তিক যোগাযোগের মাধ্যমে শিশুর তালিকা করা হচ্ছে। আগামীকাল ২১ মে এ কার্যক্রম শুরু হবে।
গৌরনদী ॥ নির্জন বাড়িতে একাকি ঘরে থাকা ষষ্ট শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী রিমার গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে গত চার দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও পুলিশ সুনিদৃষ্ট কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। নিহত স্কুল ছাত্রী রিমার পরিবারের অভিযোগ উত্যক্তকারী বখাটেরা রিমাকে ধর্ষনের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। অপরদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীরা বখাটেদের পক্ষ নিয়ে নানামূখী ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ছবিখারপাড় গ্রামে। পুলিশ জানায়, পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার পূর্ব কাত্তিকপাশা গ্রামের দিনমজুর আলাউদ্দিন মৃধার কন্যা রিমা আক্তার (১৩)। আগৈলঝাড়া উপজেলার ছবিখারপাড় গ্রামের মামা শরিয়াতুর রহমান জীবন তার স্ব-পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকার সুবাধে রিমা ও তার বড়ভাই আবু হানিফ মামা বাড়িতেই বসবাস করতো। রিমা আগৈলঝাড়া উপজেলার জোবারপাড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী। নিহত রিমার মামা শরিয়াতুর রহমান জীবন অভিযোগ করেন, রিমা স্কুলে আসা যাওয়ার পথে একই গ্রামের বখাটে শুভ্র গাইন (১৮), কমল বিশ্বাস (১৯) ও পরেশ (২২) প্রায়ই রিমাকে উত্যক্ত করত। রিমা মোবাইল ফোনে বিষয়টি তাকে জানানোর পর তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বখাটেদের একাধিকবার শ্বাসিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটেরা রিমার স্কুলে আসা যাওয়ার পথিমধ্যে তাকে (রিমাকে) অশ্লিল কথাবার্তাসহ মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে একাধিকবার রিমার ছবি তোলে। এছাড়াও বখাটেরা তার ঘরের চালায় প্রায় রাতেই ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতো। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে শালিস বৈঠকও হয়েছিলো। স্থানীয় মুদি দোকানাদার রুহুল আমিন জানান, রিমা তার দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সম্প্রতি স্থানীয় বখাটে কমল বাড়ৈ মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে তার (রিমার) ছবি তোলে। রিমার ভাই আবু হানিফ জানান, ঘটনার দিন গত ১০ মে (সোমবার) সকাল ১০ টার দিকে রিমা বাড়ির সামনের খালপাড়ে গোসল করতে যায়। গোসল করে কাপর পরিবর্তনের সময় বখাটে শুভ্র গাইন ও তার সহযোগী পরেশ রিমার ছবি তোলে। বিষয়টি রিমা তাকে (হানিফকে) জানালে সে দুপুরে বখাটে শুভ্র গাইন ও তার সহযোগী পরেশকে গালমন্দ করে শ্বাশিয়ে দেয়। ওইদিন সন্ধায়ই তিনি (হানিফ) নিরজন একাকি বাড়িতে ফিরে খাটের ওপরে গলায় ওড়রা পেচানো হাটু ভাংগা অবস্থায় রিমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। তিনি আরো জানান, খাটের বিছানার উপর তার ছোট বোন রিমার হাতের চুরি, কানের দুল, মাথার ব্যান্ড ও চাপা (চুলের ব্যবহৃত) ভাংগার অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরাছিল। এছাড়াও ঘরের যে আড়ার সাথে রিমার লাশ ঝুলানো ছিল সে আড়া থেকে খাটের উচ্চতা সাড়ে ৪ ফুট। যেখানে রিমা দাড়ালেও ঝুলতে পারেনা। হানিফের অভিযোগ আরো জানা গেছে, তার বোন রিমাকে একাকি নিরজন বাড়িতে পেয়ে বখাটেরা ধর্ষণের পর শ্বাশরুদ্ধ করে। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে রিমার লাশ ঘরের নিচু আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। ঘটনার পর থেকে বখাটেরা পলাতক রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
Comments are closed.