গৌরনদীতে ব্রীজ উপরে যোগাযোগ বিছিন্ন | চাঁদশী হাটের বড় ব্রিজটি ধসে পড়ার আশংকা

চাঁদশী এলাকার ব্যবসায়ী শাহ আলম, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, সম্প্রতি তারা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তাইফুর রহমান কচির কাছে ব্রীজটি সংস্কারের জন্য আবেদন করেন। আবেদনের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান ব্রীজটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন। সংস্কার করার কিছুদিন যেতে না যেতেই গতকাল রবিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে ইট বহনকারী ট্রলি ব্রীজ অতিক্রম করার সময় ট্রলিসহ ব্রীজটি উপরে পরে। এ সময় ট্রলির চালক গুরুতর আহত হয়। ব্রীজটি উপরে পরার কারনে জনগুরুতপূর্ণ ওই সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় প্রেমানন্দ বিশ্বাস জানান, ব্রীজটি উপরে পড়ায় প্রতিদিন ওই সড়কে যাতায়াতকারী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। জরুরি ভিত্তিত্বে ব্রীজটি সংস্কারের জন্য স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

অপরদিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গয়নাঘাটা ব্রীজ থেকে গৌরনদী-রাজিহার সড়কের চাঁদশী হাটের পূর্ব পার্শ্বে ২০০১ সালের জুন মাসে বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের অর্থায়নে ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি আরসিসি ব্রীজ নির্মান করা হয়। ব্রীজটি নির্মান কাজের সময় ষ্টাকচারের ক্রুটি ও দীর্ঘদিনে সংস্কার না করায় বর্তমানে ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ সড়কে প্রতিদিন মালবোঝাই ট্রাকসহ অর্ধশত যানবাহন চলাচল করে থাকে। যানবাহন পারাপারের সময় ব্রীজটিতে কম্পন অনুভুত হয়। এছাড়াও ব্রীজের স্লাপের বিভিন্ন অংশে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় একাধিকবার যানবাহন দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে অসংখ্য পথচারী আহত হয়েছে।

চাঁদশী হাটের ব্যবসায়ী মোকলেচুর রহমান, বাবুল তালুকদার, স্বপন সরদারসহ স্থানীয়রা জানান, জরুরি ভাবে ব্রীজটিতে যানবাহন চলাচল অযোগ্য ঘোষনা করে পূণঃনির্মান করা না হলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে অসংখ্য প্রানহানির ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে চাঁদশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাইফুর রহমান কচি জানান, জরুরি ভাবে ব্রিজ দুটি পূণঃনির্মান করা না হলে জনসাধারনের যানমালের বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।