ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ২৫ জন আহত

রামশীল গ্রামের সমর্থকদের মধ্যে গতকাল রবিবার দুপুরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংঘর্ষে উভয় গ্রামের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের আগৈলঝাড়া ও কোটালীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আগৈলঝাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত বাটরা গ্রামের প্রবীর বিশ্বাস জানান, রবিবার দুপুরে রামশীল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে রামশীল ও বাটরা গ্রামের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন সময় উভয় গ্রামের সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতন্ডা বাঁধে। একপর্যায়ে রামশীল গ্রামের সমর্থকেরা বাটরা গ্রামের সমর্থক ও খেলোয়াড়দের ওপর হামলা চালায়। হামলার একপর্যায়ে উভয় গ্রামের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় গ্রামের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত প্রবীর বিশ্বাস, কিশোর তালুকদার, যতিশ তালুকদার, কেশব রায়, পরিমল, সুরেশ, বিপুল রায়, কৃষ্ণ কান্ত রায়, অখিল জয়ধরকে আগৈলঝাড়া ও আরো ১০ জনকে কোটালীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

একইদিন বিকেলে আগৈলঝাড়ার বাশাইল গ্রামে গরুতে ফসল বিনষ্টের অভিযোগে প্রভাবশালী নিপেন হালদারের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অরুন হালদার। ওইদিন সকালে যৌতুকের দাবিতে স্বামীর নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দু’সন্তানের জননী শাহিনা বেগম। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি সেরাল গ্রামের মৃত ফজলুল হক সেরনিয়াবাতের কন্যা গৃহবধূ শাহিনা বেগম জানান, অতিসম্প্রতি তার যৌতুকলোভী স্বামী পূর্ব সুজনকাঠী গ্রামের মৃত সেকান্দার সরদারের পুত্র হালিম সরদার তার (গৃহবধূর) পিত্রালয় থেকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক আনার জন্য চাপপ্রয়োগ করে। এতে বাঁধ সাধায় পাষন্ড হালিম প্রায়ই তাকে শারিরিক নির্যাতন করে আসছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল রবিবার সকালে পূর্ণরায় হালিম অমানুষিক নির্যাতন করে গুরুতর জখম করে শাহিনা বেগমকে। বাড়ির লোকজনে মুর্মুর্ষ অবস্থায় শাহিনা বেগমকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।