গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ায় পৃথক হামলা সংঘর্ষে ১৫ জন আহত ॥ বাড়ি ভাংচুর

বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গতকাল রবিবার পৃথক হামলা ও সংঘর্ষে মহিলাসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় একটি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার বাউরগাতি গ্রামে নারী ঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল রবিবার সকালে সাইফুল মীরের নেতৃত্বে ৩/৪ জনে প্রতিপক্ষ ভ্যানচালক রুবেল হাওলাদার ওরফে কালুকে টরকী বন্দর থেকে অপহরন করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তার বৃদ্ধ পিতা কামাল হাওলাদার ছেলেকে উদ্ধারের জন্য স্থানীয় মাদ্রাসার সন্নিকটে পৌঁছলে সাইফুল ও তার লোকজনে কামাল হাওলাদারকে মারধর করে। এ সময় তার বসত ঘর ভাংচুর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। একইদিন সকালে হোসনাবাদ গ্রামে জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ কুদ্দুস ভূইয়া ও তার লোকজনে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হাফিজ ভূইয়ার স্ত্রী জহুরা বেগম ও পুত্র হালিমকে।

অপরদিকে মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আগৈলঝাড়া উপজেলার উত্তর চাঁত্রিশিরা গ্রামে প্রতিপক্ষ হালিম ময়াদ্দি ও তার সহযোগীরা হামলা চালিয়ে আহত করেছে দক্ষিণ চাঁত্রিশিরা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক স্বপন মীর, কলেজ ছাত্র জনি মীর ও ফিরোজা বেগম। তুচ্ছ ঘটনায় গোয়াইল গ্রামে প্রতিপক্ষ বিমল ও পরিমল গাইনের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে আহত করা হয় পারুল রানী ও কালা চাঁদ গাইন। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভালুকশি গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছে আলম হাওলাদার। এছাড়া তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছে দত্তরাবাজ গ্রামের তেরেজা বেগম, ফুলশ্রি গ্রামের জলিল বেপারী, গৈলা গ্রামের মঞ্জু মীর, কাফুলাবাড়ি গ্রামের ইতি বাড়ৈ। গুরুতর আহতদের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।