বিচারপতি, তোমার বিচার করবে কারা? WatchDog

মনোনীত বিচারকদের তালিকায় আরও একজনের নাম উল্লেখ না করলে নিশ্চয় অন্যায় হবে। সরকারের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল খসরুজ্জামান সাহেব। এই জামান সাহেব আদালত আওয়ামী পক্ষে না যাওয়ায় ২০০৬ সালের ৩০শে নভেম্বর প্রধান বিচারপতির এজলাসের কাচ লাথি মেরে খবরের হেডলাইন হয়েছিলেন (উপরের ছবি দেখুন)।

এরশাদ আমলের একজন মন্ত্রীর সাথে আমার সখ্যতা অনেক দিনের। মন্ত্রী হওয়ার আগে বেচারা পুরানা পল্টন লাইনের একটা টিনের ছাপরায় সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েড ব্যবসা করতেন। মন্ত্রী থাকাবস্থায় কোনদিন দেখা হয়নি। মন্ত্রিত্ব হারিয়ে পালিয়ে থাকার সময় নতুন করে দেখা। জনরোষ ও আদালতের ভয় দেখাতেই গড় গড় করে বলে গেলেন এমন সব কথা যা মনে করলে আজও আমার মাথা ৩৬০ ডিগ্রী এংগেলে ঘুরতে থাকে। হাইকোর্টের বিচারক প্রসংগে জানালেন, যে কোন সরকার ক্ষমতায় গিয়ে প্রথমেই যে কাজটা করে তা হল আদালতে দলীয় লোক নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে ভবিষ্যত বিচার-আচারের হাত হতে নিজেদের রক্ষা করা। উনার মতে যখনই সরকারের ভেতর চুরি-চামারি মহামারী আকার ধারণ করে সরকার প্রধান তখন বিশেষ নজড় দেন বিচারক নিয়োগের দিকে।

ধন্যবাদ শেখ হাসিনাকে এসব মনোনয়নের জন্যে। ক্ষমতার মসনদ হারিয়ে যেদিন ‘আবার বনবাসে রুপবান’ কায়দায় বাংলাদেশের আকাশ বাতাস ভারী করবেন, চুরির দায়ে আবারও ডিজিটাল জেলে যাবেন, প্রয়োজন হবে এইসব খুনী আর সন্ত্রাসী বিচারকদের। সিসিলিয়ান কোচা নষ্ট্রাদের কাহিনি যাদের জানা আছে তাদের বুঝতে অসুবিধা হয়না হাসিনার মত মাফিয়া গংদের রাষ্ট্র ক্ষমতা চালাতে কেন এসব কুখ্যাত বিচারকদের দরকার হয়।যে দেশে ১৪ মামলা মাথায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, সে দেশে মাত্র এক খুনের অভিযোগ নিয়ে কেন হাইকোর্টের বিচারক হওয়া যাবেনা, চিন্তার বিষয়।

ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাসে একটা ডকুমেন্টারি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। তরুণ এক ইরানী যুদ্ধবন্দীকে ফাঁসি দিচ্ছে ইরাকীরা। বন্দীর দুই হাত ও দুই পা চারটা জিপে আলাদা করে আটকে একটানে ছিড়ে ফেলে এবং পৈশাচিক উন্মাদনায় মেতে উঠে বিশ্ব জয়ের আনন্দের মত।

মাঝে মধ্যে ইচ্ছে করে আমাদের মাফিয়া গংদেরও একই কায়দায় এক্সিকিউট করতে…

Writer : WatchDog