শিক্ষকেরা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের হয়রানির শিকার

সমন্বয়হীনতায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রধান শিক্ষকরা। তাদের ঘুষ বাণিজ্যের শিকার হয়ে পদে পদে বিড়ম্বনা পোহাচ্ছেন তারা।
এসব প্রতিরোধে এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে গতকাল বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ঘেরাও করে বিতর্কিত ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মহিউদ্দিনের অপসারন দাবী করেছেন।

সম্প্রতি বরিশাল সদর উপজেলার আস্থাকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তৌহিদা খানমকে বদলি করা হয় পাশ্বর্তী ধর্মাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। একই সাথে ধর্মাদি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা লিজা খন্দকার কে বদলি করা হয় আস্তাকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই বদলির আদেশ দেন জেলা পাথমিক শিক্ষা অফিসার হারুন নকীব। যার স্মারক নং ১০২৮/৫। আদেশ অনুযায়ী ২৮ জুন চিঠি হাতে পাওয়ার পর তৌহিদা খানম যথারীতি ২৯ জুন ধর্মাদি স্কুলে যোগদান করেন। কিন্তু নানা তালবাহানা ও মিথ্যা মেডিক্যাল রিপোর্ট দিয়ে আস্তাকাঠি স্কুলে যোগদান থেকে বিরত থাকেন লিজা খন্দকার।
এরিই মধ্যে চাকুরী থেকে অবসরে যান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হারুন নকীব। ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব পান সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন। এই সুযোগে লিজা খন্দকার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন কে ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করে পুনরায় ধর্মাদি  স্কুলে বহাল থাকার আদেশ করান। আর তৌহিদা খানমকে বদলি  করেন সদর উপজেলার রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই বদলি আদেশে চরম দুর্নীতির আশ্রয় নেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা হারুন নকীব যেখানে তৌহিদা খানমকে আস্তাকাঠী থেকে ধর্মাদীতে বদলি করলেন, সেখানে ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন কোন ক্ষমতা বলে তাকে পুনরায় আস্তাকাঠী থেকে রাজাপুরে বদলি আদেশ করলেন? লিজা খন্দকারের কাছ থেকে ঘুষ খেয়েই এমনটি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এরই প্রেক্ষিতে আস্তাকাঠী ও ধর্মাদি এলাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মিরা গতকাল রোববার সকালে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে এসব অপকর্মের প্রতিবাদ জানান এবং প্রধান শিক্ষিকা তৌহিদা খানমকে অহেতুক হয়রানি না করার পরামর্শ দেন।
এদিকে খবর পেয়ে সাংবাদিকরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গেলে তাদের সাথেও খারাপ আচরন করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন। এসময় বেরিয়ে আসতে থাকে মহিউদ্দিনের ঘুষ-দুর্নীতি ও অপকর্মের নানা কাহিনী। যা পর্যায় ক্রমে জনসম্মুখে তুলে ধরার উদ্যোগ নেন সাংবাদিকরা।