পান বরজের অজ্ঞাত রোগ – চাষীদের মাথায় হাত

ফলে পান চাষীদের এখন মাথায় হাত পরেছে। কোন ঔষধেই এ রোগ প্রতিরোধ হচ্ছেনা। এ অজ্ঞাতরেগের প্রতিষেধক কি তাও জানা নেই চাষীদের।

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার টেমার গ্রামের পান চাষী সুলতান মিয়ার পুত্র কালাম মিয়া জানান, বিভিন্ন এনজিও থেকে তিনি ২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে এবং নিজস্ব পুজি খাঁটিয়ে ১০ শতক জমিতে পান চাষ শুরু করেন। চলতি বর্ষা মৌসুমে একটানা বৃষ্টির কারণে তার পান বরজের অধিকাংশ লতার গোড়া পচন ধরে শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একই গ্রামের রহমান সরদারের পুত্র ফেরদৌস সরদার ও নিরাঞ্জন বাড়ৈর পুত্র চিত্ত রঞ্জন বাড়ৈ। ফুল্লশ্রী গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষি বলরাম, কানাই, বাদল, ভবতোষ, সুবল, গৌরাঙ্গ ও শৈলেন দাস জানান, তাদের পান বরজেও এ রোগ দেখা দেয়ায় তারা প্রতিষেধক হিসেবে ফলিকুর, ইডব্লিউ-২৫০ এমএল ও শিখিউর ব্যবহার করেছেন। এতেও কোন সুফল হয়নি। আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ বাড়ৈ জানান, উপজেলায় মোট ২শ হেক্টর জমিতে পান চাষ করছে ২২শ ৩৫ জন চাষী। স্থানীয়ভাবে এ রোগটাকে ফাঙ্গাঁস বলা হলেও এটা ছত্রাক জনিত রোগ। সাধারণত বর্ষা মৌসুমে এ রোগের প্রার্দুভাব বেশি দেখা দেয়। প্রতিরোধের জন্য তিনি চাষীদের ডাইথেন.এম এবং রিডোবেল এম.জেড ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।

রির্পোট ও ছবি: খোকন আহম্মেদ হীরা