মেহেন্দিগঞ্জে ৩দিনে ২শতাধিক পরিবার গৃহহীন

৩ দিনে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চর শেফালী গ্রামের ২ শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এই ৩দিনে সেখানে শতাধিক একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যার মধ্যে বসতঘর ও ফসলী জমি, কমিউনিটি ক্লিনিক ও বাজার রয়েছে। প্রবল বৃষ্টি এবং উজানের ঢলে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।

ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত মতলেব হাওলাদার, মকবুল হাওলাদার, কালাম বেপারী, দুলাল মীর, হাশেম বেপারী, আলম মীর, আদম আলী হাওলাদার, রত্তন রাড়ি, সিদ্দিক হাওলাদার, ধলু রাঢ়ী জানান, গত ৩দিনে তাদের প্রত্যেকের ৫ থেকে ৭ একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তিনদিন আগেও তারা ছিলেন গ্রামের সভ্রান্ত পরিবার। এখন তাদের মাথা গোজার ঠাইও নেই। ভাঙ্গনের কবল থেকে কোনমতে জীবন রক্ষা করতে পারলেও কোন সম্পদ রক্ষা করতে পারেননি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ভাঙ্গন এলাকায় এ পর্যন্ত কোন সরকারী কর্মকর্তা যাননি। এমনকি খোঁজ খবর পর্যন্ত নেননি। পানি উন্নয়ন বোর্ডও ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ভাঙ্গনে গৃহহারা পরিবারগুলোর অধিকাংশই বেড়িবাধের উপর আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে ঠাঁই নিয়েছে অন্যের জমিতে। সীমাহীন দূর্ভোগে রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবরগুলো।

এ অবস্থায় ভাঙ্গনরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে স্থানীয়রা শুক্রবার মানবন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। ভাঙ্গনকবলিত পরিবারগুলোসহ গ্রামের সহস্রাধিক নারী-পুরুষ মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হোসেন হাওলাদার জানান, তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নদী ভাঙ্গনের খবর জানিয়েছেন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুসাইন শওকত জানান, নদী সিকয়িস্তি লোকজনের তালিকা তৈরী করা হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার মাহেব হোসেন জানান, তিনি ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। সাধ্যমতো সহায়তাও করেছেন। তিনি বলেন, মেহেন্দিগঞ্জের মানুষের এখন একটাই দাবি নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে তাদের রক্ষা করা।