বরিশালে যুবদল নেতাকে অপহরনের পর নির্যাতন

আনিছুর রহমান মিলন (৪২) কে অপহরনের পর নির্যাতন চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। রাতভর নির্যাতনে তার হাত-পা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বাবুগঞ্জ উপজেলার একটি ইটের ভাটা থেকে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আনিছুর রহমান মিলন সোমবার রাতে গীর্জা মহল্লা কসাই মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় শেষে কাটপট্টি নিজ বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাকলারমোড় এলাকার সৈয়দ কায়সার মিয়ার ছেলে ভুট্টো, বাজাররোড এলাকার নাইয়া বশির, লাইনরোড এলাকার জাফর ও কাটপট্টি এলাকার মুন্না তাকে অপহরন করে। তারা একটি প্রাইভেট কার যোগে তাকে বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুরে কায়সার মিয়ার মালিকানাধীন ইট ভাটা সুপার ব্রিকস্ নিয়ে যায়। তাকে ভাটায় একটি গাছের সাথে বেধে ফেলে। এর পর শুরু হয় নির্যাতন। ভুট্টোর নির্দেশে ভাটার শ্রমিকরা লাঠি, লোহার রড ও গাছের খাটিয়া দিয়ে পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙ্গে দেয়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জানাযায়, কাটপট্টি এলাকার একটি জমিতে ঘর উঠানো নিয়ে স্থানীয় কয়েক জনের সাথে মিলনের বিরোধ রয়েছে। মিলনের স্ত্রী হালিমা আক্তার রুবি জানান, অপহরনের খরব পেয়ে তিনি কোতয়ালী থানায় ছুটে যান। পরে তাকে সেখান থেকে বিমান বন্দর থানায় পাঠায়। তার মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিমান বন্দর থানা পুলিশ সকালে সুপার ব্রিকস থেকে তাকে উদ্ধার করে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমান বন্দর থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, আনিছুর রহমান মিলনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুপার ব্রিকসের তিন কর্মচারীকে থানায় আনা হয়েছে।